পটুয়াখালীর

বাউফলে পরিযায়ী পাখি শিকার করে পিকনিক, ফেসবুকে স্ট্যাটাস

বাউফলে পরিযায়ী পাখি শিকার করে পিকনিক, ফেসবুকে স্ট্যাটাস
ছবি: সংগৃহীত

'আমরা শীতের দিনে পশু (পাখির ইমোজি) শিকার করে পিকনিক খাইতেছি'— লিখে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কেশবপুর ইউনিয়নের সুমন খান নামের এক যুবক। সেখানে শিকার করা বেশ কিছু জীবিত পাখি ও কাটা মাংস এবং রান্নার ছবিও পোস্ট করা হয়।

গত ১৩ জানুয়ারি ছবিটি পোস্ট করেন সুমন খান নামে এক যুবক।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ওই ছবি ভাইরাল হওয়ার পর থেকে শুরু হয়েছে সমালোচনার ঝড়। তবে পুলিশ বা বন বিভাগ এখনো ওই যুবককে শনাক্ত কিংবা আইনের আওতায় আনতে পারেনি।

বাউফলে পরিযায়ী পাখি শিকার করে পিকনিক, ফেসবুকে স্ট্যাটাস
পিকনিকের ছবি পোস্ট করা হয় ফেসবুকে। ছবি: সংগৃহীত

তবে, সুমন খানের পরিচয় এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে দাবি করেন বাউফল থানার ওসি আল মামুন। 

তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। তাকে শনাক্তের চেষ্টা করছি। শনাক্ত করা গেলে আইনের আওতায় এনে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পটুয়াখালীর বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। শীতের সময় জেলার বিভিন্ন চরাঞ্চল ও বনাঞ্চলে অতিথি পাখির আগমন ঘটে। এসব অতিথি পাখি যাতে শিকার করা না হয় সেজন্য গত দুদিন ধরে সংশ্লিষ্ট এলাকায় সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য মাইকিং করা হচ্ছে।

এ ছাড়া ফেইসবুকে পোস্ট দেওয়া যুবকটিকে শনাক্ত করতে পারলে তার বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা দায়ের করা হবে বলেও জানান তিনি।

স্থানীয়রা জানান, শীত মৌসুমে বিভিন্ন শীতপ্রধান দেশ থেকে বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় অতিথি পাখি আসে আশ্রয় নিতে। আর এসব পাখি শিকার করা হচ্ছে নির্বিচারে। নদী বেষ্টিত পটুয়াখালীর বাউফলের চন্দ্রদ্বীপ, কালাইয়া, নাজিরপুর, কেশবপুর, ধুলিয়া, কাছিপাড়া এলাকায় অতিথি পাখির আগমন বেশি ঘটে। আর এই সুযোগকে কাজে লাগাচ্ছে কিছু অসাধু মানুষ। তারা ফাঁদ পেতে কিংবা জাল ফেলে পাখি শিকার করে। এসব পাখি অনেকটা গোপনে করা বিক্রিও করা হচ্ছে।

বাউফলে পরিযায়ী পাখি শিকার করে পিকনিক, ফেসবুকে স্ট্যাটাস
ফেসবুকে পোস্ট করা হয় শিকার করা জীবিত পাখির ছবি

বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সেভ দ্য বার্ড অ্যান্ড বি-এর পরিচালক এম এ বশার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'অতিথি পাখি শিকার, বেচাকেনা আইনত নিষিদ্ধ করা হলেও তা মানা হচ্ছে না। বিশেষ করে এই শীত মৌসুমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অতিথি পাখি নিধন বন্ধে কোনো ধরনের পদক্ষেপ না নেওয়ায় মূলত কিছু মানুষ পাখি শিকারে উৎসাহিত হচ্ছেন। তাদের উচিৎ বিভিন্নভাবে প্রচারের মাধ্যমে অতিথি পাখি শিকার নিরুৎসাহিত করা।'

 

Comments

The Daily Star  | English
rooppur-nuclear-power-plant

Rooppur payment: Govt to seek US sanction waiver

As much as $900 million has been on hold since 2022 in the central bank's escrow account

16h ago