মালয়েশিয়ায় ৯ বাংলাদেশি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সিলগালা

২০ জানুয়ারি স্থানীয় সময় বিকেল থেকে শুরু করে রাত ৯ টা পর্যন্ত চলে এ অভিযান। ছবি: সংগৃহীত

মালয়েশিয়ায় ৯ বাংলাদেশি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সিলগালা করেছে কুয়ালালামপুর সিটি করপোরেশনের (ডিবিকেএল) এনফোর্সমেন্ট ডিপার্টমেন্ট।

রাজধানী কুয়ালালামপুরের বারজায়া টাইমস স্কয়ার, জালান ইম্বি এবং বুকিত বিনতাংয়ে অভিযান চালিয়ে এগুলো সিলগালা করে দেওয়া হয়।। 

সিটি করপোরেশন বলছে, বাংলাদেশি মালিকানাধীন এসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বৈধ কোনো ব্যবসায়িক কাগজপত্র না থাকায় এগুলো সিলগালা করা হয়েছে।

২১ জানুয়ারি দেশটির মাই মেট্রোর অনলাইন পোর্টালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০ জানুয়ারি স্থানীয় সময় বিকেল থেকে শুরু করে রাত ৯ টা পর্যন্ত চলে এ অভিযান।

সিটি করপোরেশন এক বিবৃতিতে বলেছে, এক সপ্তাহ আগে থেকে এসব বাণিজ্যিক এলাকায় গোয়েন্দাদের সংগ্রহ করা তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার বিকেল থেকে বাংলাদেশি মালিকানাধীন পোশাক, ব্যাগ, মোবাইল ফোন সরঞ্জাম, রেস্টুরেন্টসহ অন্তত ১০টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালানো হয়। এ সময় ৯টি প্রতিষ্ঠানই তাদের বৈধ ব্যবসায়িক কাগজ পত্র দেখাতে ব্যর্থ হওয়ায় দেশটির স্থানীয় সরকার আইন ১৯৭৬-এর ১০১ (১) (ভি) অনুযায়ী তাৎক্ষণিকভাবে এগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়।

এ ছাড়া ব্যবসা ও শিল্প বাণিজ্য আইন (ডব্লিউপিকেএল) ২০১৬ আইন (৬) এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে ১০টি নোটিস জারি করা হয়। এর মধ্যে বৈধ ব্যবসায়িক সনদ বা কাগজ পত্র না থাকায় ৬টি প্রতিষ্ঠানকে, অনুমতি ছাড়া কর্মী নিয়োগের জন্য ৩টি প্রতিষ্ঠানকে এবং স্থানীয় সরকার আইন ১৯৭৬ এর শর্ত লঙ্ঘনের জন্য আরও একটি প্রতিষ্ঠানকে নোটিস দেওয়া হয়।

মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক দাতুক খায়রুল যাইমি দাউদ সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, 'কুয়ালালামপুরসহ বিভিন্ন জায়গায় অভিবাসীরা অবৈধভাবে দোকানপাট খুলে ব্যবসা পরিচালনা করছেন, যা অভিবাসন আইনে অবৈধ। তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চলবে।'

কুয়ালালামপুর সিটি করপোরেশন বলছে, যেসব এলাকায় বিদেশি নাগরিক পরিচালিত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে, সেসব এলাকায় ক্রমাগত পর্যবেক্ষণ এবং তদন্ত চলবে।

Comments

The Daily Star  | English

Once a lifeline, Labondaho now a curse

Abdul Aziz once harvested rice in abundance from his fields next to Labondaho, once a picturesque river located in Indrapur, Gazipur’s Sreepur. Today, he stands on cracked earth, nursing losses and lamenting poisoned waters.

14h ago