রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের পাইলট প্রকল্প শিগগির বাস্তবায়িত হবে: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম শাহরিয়ার আলম। ছবি: সংগৃহীত

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন যে, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের 'পাইলট প্রকল্প' দ্রুততম সময়ের মধ্যেই বাস্তবায়িত হবে।

তিনি মিয়ানমারে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবর্তনে আলোচনার জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম প্রদানে বাংলাদেশ, মিয়ানমার ও চীনের মধ্যে একটি ত্রিপক্ষীয় উদ্যোগে 'সক্রিয় ভূমিকার' জন্য চীনকে ধন্যবাদ জানান।

বাংলাদেশে চীনের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন আজ রোববার বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন এবং পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রদূত ওয়েন বলেন, 'রোহিঙ্গাদের স্বদেশে প্রত্যাবাসন নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের অভিন্ন উদ্দেশ্য রয়েছে।'

তিনি বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের 'ত্যাগ' স্বীকার করেছেন এবং তাদের প্রত্যাবাসনে ভূমিকা রাখার আশ্বাস দিয়েছেন।

রাষ্ট্রদূত ওয়েন বলেন, 'আমরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছি। আপনারা অনেক অর্থ ব্যয় করেছেন এবং অনেক কষ্ট স্বীকার করেছেন। আপনারা অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন। আমাদের লক্ষ্য (প্রত্যাবাসন) অভিন্ন।'

বাংলাদেশ কক্সবাজার ও ভাসানচরে ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে আতিথ্য করছে এবং গত ৬ বছরে একজন রোহিঙ্গাকেও প্রত্যাবাসন করা হয়নি।

প্রতিমন্ত্রী সরাসরি বিমান যোগাযোগ স্থাপনের গুরুত্বও তুলে ধরেন এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতে, চীন থেকে শিল্প স্থানান্তরের জন্য বাংলাদেশকে একটি উপযুক্ত স্থান হিসেবে বিবেচনা করার জন্য চীনা রাষ্ট্রদূতকে অনুরোধ জানান।

চীনা রাষ্ট্রদূত দ্বিপক্ষীয় ব্যবসা ও বাণিজ্য বৃদ্ধির জন্য পিপিপি-তে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) শেষ করতে আগ্রহ দেখিয়েছেন।

নতুন রাষ্ট্রদূতের মেয়াদে ২ দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে বলেও আশা প্রকাশ করেন প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।

উভয় পক্ষই বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, অবকাঠামো উন্নয়ন, সংযোগ ও কোভিড পরিস্থিতিসহ পারস্পরিক স্বার্থের দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় সহযোগিতার বিষয়ে আন্তরিকভাবে মতামত বিনিময় করেছে।

চীনা নববর্ষ দিবসে নতুন রাষ্ট্রদূতকে অভিনন্দন জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশের বৃহত্তম দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য অংশীদার হওয়ার জন্য চীনকে ধন্যবাদ জানান।

বৈঠকে তিনি কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলায় এবং চীন থেকে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের প্রত্যাবাসন এবং পরবর্তীতে উচ্চশিক্ষা চালিয়ে যাওয়ার জন্য তাদের চীনে প্রত্যাবর্তনে সহায়তার জন্য চীন সরকারকে ধন্যবাদ জানান।

তিনি বাংলাদেশে রাষ্ট্রদূত ইয়াওর সফল মেয়াদ কামনা করেন এবং তার দায়িত্ব পালনে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

Comments

The Daily Star  | English

Divisions widen over July Charter’s status, implementation

Major political parties are divided over the July Charter’s implementation timeline

11h ago