ডিবির জাল টাকা মামলায় ৬ বছর পর ২ আসামি খালাস

আদালত প্রাঙ্গণে বন্ধু হোটেলের শেফ সোহেল রানা (বামে) ও ম্যানেজার হাসান মজুমদার (ডানে)। ছবি: এমরুল হাসান বাপ্পী/স্টার

প্রায় ৬ বছর আগে জাল নোট রাখার মামলায় আসামি করা হয়েছিল রাজধানীর পল্টন এলাকার হোটেল বন্ধুর ম্যানেজার ও শেফকে। পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) করা ওই মামলার দুই আসামিকে আজ মঙ্গলবার আদালত খালাস দিয়ে মামলা খারিজ করে দিয়েছেন। 

ঢাকার মেট্রোপলিটন স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-১৫ এর বিচারক তেহসিন ইফতেখার বন্ধু হোটেলের ম্যানেজার হাসান মজুমদার ও শেফ সোহেল রানাকে মামলা থেকে খালাস দেন।

২০১৬ সালের ৬ নভেম্বর সাদা পোশাকে হোটেল বন্ধুতে অভিযান চালায় ডিবির একটি দল। অভিযানে হাসান ও সোহেলকে আটক করা হয়। এ ঘটনাটি হোটেলের সিসি ক্যামেরায় রেকর্ডও হয়েছিল সেদিন।

একই দিন ডিবির এক উপপরিদর্শক বাদী হয়ে হাসান ও সোহেলের বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেন।

পুলিশের প্রাথমিক তথ্য বিবরণীতে (এফআইআর) অবশ্য বলা হয় পুরো ভিন্ন একটি গল্প। এফআইআরে লিখা হয়, ২০১৬ সালের ৬ নভেম্বর বিকেল সোয়া ৪টার দিকে ফকিরাপুল কাঁচাবাজার এলাকা থেকে হাসান ও সোহেলকে গ্রেপ্তার করে ডিবি। তারা দুজন সে সময় ২৫ লাখ টাকার জাল নোট নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছিল।

ম্যানেজার হাসানের অভিযোগ, ডিবির ওই দলকে ৩ লাখ টাকা ঘুষ না দেওয়ায় মিথ্যা এফআইআর লেখা হয়েছে।

পরের বছর অভিযান পরিচালনাকারী কর্মকর্তাদের একজন উপপরিদর্শক দেওয়ান উজ্জ্বল হোসেন মামলার তদন্তভার নেন এবং হাসান ও সোহেলের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন।

ঘটনার পর ভুক্তভোগী হাসান ও তার ভাই হোসেন মজুমদার এটিকে মিথ্যা মামলা উল্লেখ করে এর থেকে প্রতিকার চেয়ে পুলিশ সদরদপ্তর, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ৯ জন ডিবি সদস্যের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ করেন। কিন্তু কোথাও থেকে প্রতিকার পাননি ভুক্তভোগী হাসান ও সোহেল।

অবশেষে আজ জাল টাকা উদ্ধারের ওই মামলার রায়ে আদালত তাদের নির্দোষ ঘোষণা করলেন। 

ডিবির ওই ৯ সদস্য হলেন-উপপরিদর্শক দেওয়ান উজ্জ্বল হোসেন, পরিদর্শক তপন কুমার ঢালী, সহকারী উপপরিদর্শক জিয়াউর রহমান, সোহেল মাহমুদ, আবুল বাশার, মমিনুল হক, নাজমুল হক প্রধান এবং কনস্টেবল নয়ন কুমার ও গোলাম সরোয়ার।

Comments

The Daily Star  | English
cyber security act

A law that gagged

Some made a differing comment, some drew a political cartoon and some made a joke online – and they all ended up in jail, in some cases for months. This is how the Digital Security Act (DSA) and later the Cyber Security Act (CSA) were used to gag freedom of expression and freedom of the press.

10h ago