ফরিদপুর

ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে ২ পক্ষের সংঘর্ষ, আহত অন্তত ৪০

স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত দফায় দফায় এ সংঘর্ষ হয়।

পরে পুলিশ গুলি, কাঁদানে গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুঁড়ে বিকেল ৩টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ভাঙ্গা সার্কেল) মো. হেলালউদ্দিন ভুঁইয়া দ্য ডেইলি স্টারকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয়রা জানান, ভাঙ্গা বাজার এলাকায় কয়েকদিন আগে ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে কাপুড়িয়া সদরদী ও সোনাখোলা মহল্লার দুইদল তরুণের মধ্যে বিরোধ হয়। এ বিরোধের জের ধরে আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে সোনাখোলার ৩-৪ জন তরুণ কাপুড়িয়া সদরদী মহল্লার দুই তরুণকে মারধর করে। 

পরে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে হোগলাডাঙ্গী এলাকার বাসিন্দা ভাঙ্গা কাজী মাহবুব উল্লাহ কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী মুশফিক মৃধাকে (১৮) মারধর করে সোনাখোলা মহল্লার লোকজন।

এই ঘটনার প্রতিবাদে কাপুড়িয়া সদরদী এলাকার লোকজন সংঘবদ্ধ হয়ে সেতু পার হয়ে সোনাখোলা এলাকায় হামলা চালায়। এ সময় নজরুল (৫৪) নামে এক চাল ব্যবসায়ীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করা হয়। 

পরে সোনাখোলার লোকজন প্রতিরোধ করলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। উভয় পক্ষ দেশীয় অস্ত্র ও ইট নিক্ষেপ করে। এতে অন্তত আরও ৩৭ জন আহত হন। 

পরে ভাঙ্গা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শটগানের ৪৫ রাউন্ড গুলি, কাঁদানে গ্যাস ও দুটি সাউন্ড গ্রেনেড ফাটিয়ে উভয় পক্ষের লোকজনদের ছত্রভঙ্গ করলে বিকেল ৩টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ভাঙ্গা সার্কেল) মো. হেলালউদ্দিন ভুঁইয়া বলেন, 'সকাল থেকে বিবাদমান দুই পক্ষ দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়ায়। দুপুর ২টার দিকে সংঘর্ষ মারাত্মক আকার ধারণ করে।'

আহতদের মধ্যে ৫ জনকে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তারা হলেন-কাপুড়িয়া সদরদী মহল্লার রাব্বি (১৮), তামিম মোল্লা (১৯), গোলাম মওলা (১৮), হোগলাডাঙ্গী সদরদী মহল্লার কাজী মাহবুব উল্লাহ কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী মুশফিক মুন্সী (১৮) ও ভাঙ্গা বাজারের তিহান (১৮) ।

অপর আহতরা স্থানীয় ক্লিনিক ও হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।

হেলালউদ্দিন ভুঁইয়া আরও বলেন, 'এ ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আছে।'

বিকেল পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো পক্ষ থানায় অভিযোগ দেয়নি।
 

Comments

The Daily Star  | English
Rethinking policing in Bangladesh

From force to service: Rethinking policing in Bangladesh

Reform requires transforming the very meaning of policing in a democratic republic from an authoritarian order.

5h ago