মোদির সহায়তায় ধনী হওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করলেন আদানি

ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি ও শীর্ষ ধনী আদানি। ছবি: সংগৃহীত
ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি ও শীর্ষ ধনী আদানি। ছবি: সংগৃহীত

বিপদে আছেন ভারতের ধনকুবের গৌতম আদানি। হিনডেনবার্গের প্রতিবেদন প্রকাশের পর শুনছেন একের পর এক দুঃসংবাদ। এ অবস্থায় সমালোচকদের অভিযোগ, 'মোদির সহায়তায় এশিয়ার শীর্ষ ধনী ব্যক্তি হয়েছেন আদানি'।

আজ শুক্রবার বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

গত সপ্তাহে গবেষণা প্রতিষ্ঠান হিনডেনবার্গ এক প্রতিবেদনে অভিযোগ করে, আদানি গ্রুপ স্টক ও হিসাবের বিষয়ে জালিয়াতি করে সম্পদের পরিমাণ ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে দেখিয়েছে। গত এক দশক ধরে আদানি গ্রুপ এই জালিয়াতি করছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

বুধবার 'এশিয়ার সবচেয়ে ধনী' ব্যক্তির খেতাব হারিয়েছেন আদানি। আদানি গ্রুপের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দর পতন অব্যাহত রয়েছে এবং সার্বিকভাবে মূলধন কমেছে ১০০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি।

এর মাঝে সমালোচকরা দাবি করেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও গৌতম আদানির মাঝে খুবই ভালো সম্পর্ক রয়েছে। ২ জনই গুজরাট অঙ্গরাজ্যের বাসিন্দা। ফলে মোদি তাকে বিভিন্ন খাতে ব্যবসা পেতে সহায়তা করেছেন এবং তাকে সুষ্ঠু নজরদারি এড়িয়ে চলতে সহায়তা করেছেন। এসব কারণেই এতো ধনসম্পদ অর্জন করেছেন আদানি—অভিযোগ এমনটাই।

তবে আদানি শুক্রবার ইন্ডিয়া টুডে টিভিতে বলেন, 'এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন'। তিনি আরও জানান, তারা ২ জন একই অঙ্গরাজ্যের বাসিন্দা হওয়ায় খুব সহজেই এ ধরনের অভিযোগ আনা যায়।

তিনি বলেন, 'প্রকৃত সত্য হল, আমার পেশাদার জীবনের সাফল্যে কোনো নেতার অবদান নেই'।

বম্বের পুঁজিবাজারে আদানি এন্টারপ্রাইজেসের শেয়ারের বিক্রি স্থগিত করা হয়েছে। ধারাবাহিকভাবে দর কমে এর সার্বিক মূল্যমান ২৫ শতাংশ কমেছে। অস্বাভাবিক দর পতনের কারণে বেশ কয়েকবার এই শেয়ারের বিক্রি স্থগিত করা হয়।

আদানির ব্যক্তিগত সম্পদও বড় আকারে কমেছে। সম্প্রতি তিনি ফর্বস এর শীর্ষ ২০ ধনীর তালিকার বাইরে চলে গেছেন। হিনডেনবার্গের প্রতিবেদন প্রকাশের আগে তিনি তৃতীয় স্থানে ছিলেন।

ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, ক্রেডিট সুইস ও সিটিগ্রুপ সহ বেশিরভাগ বড় বড় ব্যাংক ব্যক্তি পর্যায়ে ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে জামানত হিসেবে আদানি গ্রুপের বন্ডকে বিবেচনায় নিচ্ছে না।

বিশ্লেষকরা বলছেন, আদানি গ্রুপের এ সমস্যায় বিনিয়োগবান্ধব দেশ হিসেবে ভারতের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে, বিশেষত যখন তারা চীন ছাড়া অন্যান্য দেশের কাছ থেকে বিনিয়োগ পাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে।

সব মিলিয়ে, মহা বিপদে আছেন আদানি।

 

Comments

The Daily Star  | English

Trump says not yet made decision on whether to attack Iran

Israel army says struck Iran centrifuge production, weapons manufacturing sites

1d ago