ধামরাইয়ে সাংবাদিকের ওপর আ. লীগ নেতার হামলার অভিযোগ

ধামরাইয়ে সাংবাদিকের ওপর আ. লীগ নেতার হামলার অভিযোগ
আহত সাংবাদিক শামীম খান বাবা সাটুরিয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি আছেন। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচীর সংবাদ সংগ্রহের সময় ঢাকার ধামরাইয়ে দৈনিক যুগান্তরের সাংবাদিকের ওপর সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ উঠেছে ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সভাপতির বিরুদ্ধে।

আজ শনিবার দুপুর ১২টার দিকে ধামরাইয়ের গাঙ্গুটিয়া ইউনিয়নের হাতকোড়া গ্রামে ওই ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত সাংবাদিক শামীম খানকে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সাংবাদিক শামীম খানের ছেলে ইমরান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচীর সংবাদ সংগ্রহ করতে যায় আমার বাবা। গাঙ্গুটিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের কাদের মোল্লার অনুসারীরা বিএনপির কর্মসূচীতে বাধা দিতে যান। সেখানে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় তারা আমার বাবার ওপর হামলা চালান। কাদের মোল্লা, তার ভাতিজা ও অনুসারীরা বাবার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় বাবাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেন তারা। বর্তমানে বাবা সাটুরিয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।'

হামলার কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, 'আমার বাবা কাদের মোল্লার দুর্নীতির বেশ কয়েকটি সংবাদ প্রকাশ করেছিলেন। এতেই তারা বাবার ওপর ক্ষিপ্ত হন। আজ সুযোগ বুঝে হামলা চালান তারা।'

এ বিষয়ে ধামরাইয়ের গাঙ্গুটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের মোল্লার সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমাদের এলাকায় আওয়ামী লীগের ২টি পৃথক মিছিল হয়। বিএনপির মিছিলও হয়। বিএনপির মিছিলের নেতৃত্ব দেন মূলত সাংবাদিক শামীম খান। ওই এলাকায় বিএনপি-আওয়ামী লীগ ২ গ্রুপের ঝামেলা হয়েছে। শুনেছি ওখানে সাংবাদিক আহত হয়েছেন।'

ধামরাই থানা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক ও গাংগুটিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোজাম্মেল হক ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা সুষ্ঠুভাবে কর্মসূচি পালন করেছি। যুবদলের মুরাদ অপর একটি মিছিল বের করেন। পরে মুরাদের মিছিলটি আওয়ামী লীগের একটি মিছিলের কাছাকাছি গেলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ধাওয়া দেন। এসময় তারা শামীম খানকে মারধর করেন।'​​​​​​​​​​​​​​​​​​​

এ বিষয়ে ধামরাই থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আলআমিন বলেন, হামলার ব্যাপারে আমি জানি না। তবে তিনি (সাংবাদিক) একটি বাড়িতে ছিলেন। সেখান থেকে আমি তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছি। হামলার বিষয়ে আপনি তার কাছে জিজ্ঞেস করেন। এ ব্যাপারে জানি না।'

তবে এ বিষয়ে জানতে একাধিকবার ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর রহমানের মুঠোফোন যোগাযোগ করা হলে, তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

Comments

The Daily Star  | English

Threat of fresh Rohingya influx looms as clashes erupt in Myanmar

Gunfire and explosions were heard late Friday night from villages across the border in Myanmar opposite Whykong union in Teknaf upazila of Cox’s Bazar. Residents, gripped by panic, reported that this was the most intense gunfire they had heard in months.

7h ago