ভূমিকম্পে তুরস্কে ভবন ধসের ঘটনায় ১১৩ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

ছবি: রয়টার্স

এক সপ্তাহ আগে বিধ্বংসী ভূমিকম্পে ভবন ধসের পেছনে যাদের দায় আছে বলে সন্দেহ হবে তাদের সবাইকে পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তুরস্ক। ইতোমধ্যে ১১৩ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

তুরস্কের পুলিশ এই ১১৩ জনের মধ্যে ঠিকাদারসহ অন্তত ১২ জনকে হেফাজতে নিয়েছে।

আজ রোববার বার্তাসংস্থা রয়টার্স ও বিবিসি এসব তথ্য জানিয়েছে।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, তুরস্কের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফুয়াত ওকতে বলেছেন, গত সোমবারের ভূমিকম্পে ধসে যাওয়া ১০ প্রদেশের কয়েক হাজার ভবনের মধ্যে কিছু ভবন ধসের জন্য এখন পর্যন্ত ১৩১ সন্দেহভাজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে।

আঙ্কারায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সমন্বয় কেন্দ্রে সাংবাদিকদের তুরস্কের ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেন, 'সন্দেহভাজন ১৩১ জনের মধ্যে ১১৩ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় বিচারিক প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমরা এ বিষয়টিকে সূক্ষ্মভাবে অনুসরণ করব। বিশেষ করে যে ভবনগুলো বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে এবং যে ভবনগুলোতে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে সেগুলোর ক্ষেত্রে।'

তিনি আরও বলেন, 'বিচার মন্ত্রণালয় মৃত্যু ও আহত হওয়ার ঘটনা তদন্তের জন্য ভূমিকম্প হওয়া অঞ্চলের প্রদেশগুলোতে ''ভূমিকম্প অপরাধ তদন্ত ব্যুরো'' গঠন করেছে।'

তুরস্কের পরিবেশমন্ত্রী মুরাত কুরুম বলেছেন, ভূমিকম্পে এই অঞ্চলে ২৪ হাজার ৯২১টি ভবন ধসে পড়েছে বা ভূমিকম্পে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

সিরিয়া এবং তুরস্কের কিছু অংশে ভূমিকম্প আঘাত হানার ৬ দিন পর উদ্ধারকারীরা এখনও ভূমিকম্পের ধ্বংসস্তূপের মধ্যে জীবিতদের খুঁজছে। ইতোমধ্যে মৃতের সংখ্যা ২৮ হাজার ছাড়িয়ে গেছে এবং আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সামনে এ সংক্রান্ত আরও গ্রেপ্তারের ঘটনা ঘটবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

তবে তুরস্ক সরকারের এই উদ্যোগকে অনেকে ভূমিকম্পের ভয়াবহ বিপর্যয়ের সামগ্রিক দায় আড়ালের প্রচেষ্টা হিসেবে দেখবে। কারণ কয়েক বছর ধরেই বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে আসছিলেন, তুরস্কের অনেক নতুন ভবন দুর্নীতি ও সরকারের নীতির কারণে নিরাপদ নয়।

Comments

The Daily Star  | English

Exporters fear losses as India slaps new restrictions

Bangladesh’s exporters fear losses as India has barred the import of several products—including some jute items—through land ports, threatening crucial trade flows and millions of dollars in earnings.

3h ago