ইবিতে শিক্ষার্থী নির্যাতন

ছাত্রলীগ থেকে অব্যাহতি, হল ছেড়েছেন অভিযুক্ত ২ নেত্রী

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: সংগৃহীত

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ছাত্রী নির্যাতনের অভিযোগে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেত্রী সানজিদা অন্তরা ও তার সহযোগী তাবসসুম ইসলামকে সংগঠন থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। গতকাল রাতেই কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তারা হলও ছেড়েছেন।

তাদের হল ছাড়ার বিষয়টি দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করেছেন ইবির দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শামসুল আলম।

আর সংগঠন থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত।

ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত বলেন, 'তদন্তে দোষী সাব্যস্ত হলে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হবে।'

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অনাবাসিক ছাত্রীকে হলে রাতভর নানাভাবে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন এবং নির্যাতনের ভিডিও ধারণের ঘটনায় গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন বুধবার হাইকোর্টের নজরে আনেন আইনজীবী গাজী মো. মহসীন ও আজগর হোসেন তুহিন। তখন তাদের লিখিত আবেদন দিতে বলেন আদালত। সেই অনুসারে তারা জনস্বার্থে রিট করেন।

বৃহস্পতিবার শুনানি শেষে একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ও একজন প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তার সমন্বয়ে তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ ছাড়া, অভিযুক্তদের ক্যাম্পাসের বাইরে রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়।

দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শামসুল আলম ডেইলি স্টারকে বলেন 'বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের মৌখিক নির্দেশে অভিযুক্তদের হল ছাড়ার নির্দেশ দিছি। গতকাল সন্ধ্যার পর তারা হল ছেড়েছে।'

যেখানে ঘটনাটি ঘটে, সেই গণরুম থেকে অন্য শিক্ষার্থীরা চলে গেছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'কয়েকজনের পারিবারিক ও ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে চলে যাওয়ার কথা শুনেছি।'

'ওই রুমের কেউই হলের আবাসিক শিক্ষার্থী নন, তারা অনাবাসিক হিসেবে হলে থাকার অনুমতিপ্রাপ্ত', বলেন তিনি।

তাদের অনেকেই তো প্রত্যক্ষদর্শী। তারা চলে গেলে তদন্তকাজ ব্যাহত হবে কি না, জানতে চাইলে প্রভোস্ট বলেন, 'সমস্যা হবে না। কারণ তাদের নাম-ঠিকানা রয়েছে। তদন্ত কমিটি চাইলে অবশ্যই তাদের সঙ্গে কথা বলতে পারবে। প্রয়োজনে তাদেরকে নিয়ে আসা হবে।'

বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক শাহাদাৎ হোসেন আজাদ বলেন, 'হলের কোনো শিক্ষার্থী নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন, এমন কথা বলেননি। তাদের সর্বোচ্চ টেক কেয়ার করা হচ্ছে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর সঙ্গে যোগাযোগও অব্যাহত রয়েছে। তাকে নিয়ে আসার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।'

Comments

The Daily Star  | English

Israel welcomes 'all help' in striking Iran

Israel hits nuclear sites, Iran strikes hospital as conflict escalates

1d ago