বিএনপি নির্বাচনে না গেলে আইসিইউতে যাবে: ওবায়দুল কাদের

বাংলাদেশ জাতীয় নির্বাচন ২০২৪
ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, জাতীয় নির্বাচন নিয়ে কোনো ষড়যন্ত্র মেনে নেওয়া হবে না।

তিনি বলেন, 'তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর হবে না, হবে না, হবে না, ইনশাআল্লাহ হবে না। নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী হবে। আর এ নির্বাচন হতে দেবেন না, এমনটা হলে খবর আছে। নির্বাচন নিয়ে কোনো ষড়যন্ত্র মেনে নেয়া হবে না।'

ওবায়দুল কাদের আজ রোববার ঘাটারচরে কেরানীগঞ্জ মডেল থানা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত শান্তি সমাবেশে এসব কথা বলেন।

বিএনপি জামায়াতের সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ এই শান্তি সামাবেশের আয়োজন করে।

বিএনপি ও তাদের সমমনা দলগুলোর আন্দোলন নিয়ে সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'আপনাদের পল্টন থেকে গোলাপবাগে যাওয়া ভুয়া, গরুর হাটের আন্দোলন ভুয়া, ২৭, ১২, ১০ দফা সবই ভুয়া।

বিএনপি মহাসচিবের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, 'আপনারা সংকটে আছেন। আপনাদের দিয়ে কোনো আন্দোলন হবে না। আপনাদের দলও ভাঙব না, জোটও ভাঙব না, তবু তাসের ঘরের মতো সব ভেঙে যাবে। আপনাদের জোট টিকবে না, টিকতে পারেও না।'

বিএনপিকে নির্বাচনে অংশ নেয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, 'আগামীতে বিএনপি নির্বাচনে না গেলে আইসিইউতে যাবে। তাদের আন্দোলনের গতি কমছে আর অভিযোগের পাহাড় বাড়ছে।'

ওবায়দুল কাদের বলেন, মাঝে মাঝে ভাবতে কষ্ট হয় এ দলও (বিএনপি) আবার ক্ষমতা চায়। এ দেশে হারানো ক্ষমতা ফিরে পাওয়া কঠিন।

শেখ হাসিনা সরকারকে হটাতে বিএনপি এখন পার্বত্য চট্টগ্রামসহ রোহিঙ্গা শিবির নিয়ে চক্রান্ত করছে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচনে বিএনপিকে জোর করে আনা হবে না, তবে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করলে তা কঠোরভাবে মোকাবিলা করা হবে। চক্রান্ত করে শেখ হাসিনাকে হটাবেন? ফখরুল সাহেব মনে রাখবেন, '৭৫ আর ২০২৩ সাল এক নয়। ২০০১ আর ২০২৩ এক নয়। সেই তত্ত্বাবধায়ক অস্বাভাবিক সরকার বাংলাদেশে আর হবে না।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির খেলার দম ফুরিয়ে গেছে। আমরা আন্দোলনেও খেলব, নির্বাচনেও খেলব। বিএনপি এখন খরার কবলে। খরার মধ্যে পড়েছে বিএনপি। অসুস্থ হয়ে অচিরেই হাসপাতালে যাবে।

ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজির আহমদের সভাপতিত্বে সমাবেশে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুণ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

Comments

The Daily Star  | English

Can't afford another lost decade for education

Whenever the issue of education surfaces in Bangladesh, policymakers across the political spectrum tend to strike a familiar chord. "Education is our top priority," they harp

3h ago