বাঁশখালী-মাতারবাড়িতে উৎপাদন শুরু হলে বিদ্যুতের ঘাটতি থাকবে না: তৌফিক-ই-ইলাহী

এসএস পাওয়ার প্ল্যান্টের নির্মাণ ও কমিশনিং কাজ পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেছেন, বাঁশখালীর এসএস পাওয়ার এবং মহেশখালীর মাতারবাড়ি কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রে উৎপাদন শুরু হলে দেশে বিদ্যুতের ঘাটতি থাকবে না। তখন দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিমাণ দাঁড়াবে প্রায় ৩০ হাজার মেগাওয়াট।

আজ রোববার এসএস পাওয়ার প্ল্যান্টের নির্মাণ ও কমিশনিং কাজ পরিদর্শনকালে তিনি এ কথা বলেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন এস আলম গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুস সামাদ লাবু, বাংলাদেশে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মাহবুবুর রহমান, পাওয়ার গ্রিড কোম্পানির (পিজিসিবি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম কিবরিয়া এবং পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক প্রকৌশলী মোহাম্মদ হোসাইন।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যুদ্ধের কারণে জ্বালানির মূল্য বাড়ছে উল্লেখ করে তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, 'বিশ্বযুদ্ধ এবং ডলার সংকটের কারণে আমাদের দেশের মতো দেশগুলোকে খেসারত দিতে হচ্ছে। চলমান যুদ্ধ বন্ধ হলে সব ঠিক হয়ে যাবে।'

সরকারের ভর্তুকির একটা সীমা আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'এলএনজি ও জ্বালানি তেলে সরকার হাজার হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়েছে। বিশ্বব্যাপী এসব জ্বালানির দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশে বিদ্যুতের দাম বাড়াতে হয়েছে।'

এস আলম গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুস সামাদ লাবু বলেন, 'আগামী জুনের শেষ দিকে পূর্ণ উৎপাদনে যাবে এসএস পাওয়ার ওয়ান প্ল্যান্ট। এই প্রকল্পে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদনে খরচ পড়ছে ৯ টাকারও কম। কম দামে কয়লা আমদানি করতে পারলে খরচ আরও কমে যাবে। আপাতত ইন্দোনেশিয়া এবং অস্ট্রেলিয়া থেকে কয়লা আমদানির চুক্তি করেছে এসএস পাওয়ার ওয়ান লিমিটেড।'

কর্মকর্তারা জানান, এসএস পাওয়ার ওয়ান লিমিটেড ইতোমধ্যে চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্যাপাসিটির কয়লাভিত্তিক সুপারক্রিটিকাল থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্টের ভৌত নির্মাণকাজ সম্পন্ন করেছে। বর্তমানে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের কমিশনিং কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এটি সর্বমোট ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বেসরকারি খাতের কয়লাভিত্তিক বৃহত্তম বিদুৎকেন্দ্র।

কর্মকর্তারা আরও জানান, এসএস পাওয়ার ওয়ান লিমিটেড বাংলাদেশ ও চীনের যৌথ মালিকানায় প্রতিষ্ঠিত একটি প্রতিষ্ঠান, যার বিনিয়োগকৃত অর্থের পরিমাণ প্রায় ২ দশমিক ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২৮ হাজার কোটি টাকা। এই কোম্পানির ৭০ শতাংশ মালিকানায় রয়েছে দেশের বৃহৎ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান এস আলম গ্রুপ এবং বাকি ৩০ শতাংশ চীনের সেপকো থ্রির।

উল্লেখ্য, এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণকাজ শুরুর সময় ৩ দফা সংঘর্ষে ১৩ জন নিহত হয়েছিলেন।

Comments

The Daily Star  | English
Election in Bangladesh

Why are we trying to make the election uncertain?

Those who are working to prevent the election should question themselves as to how the people will be empowered without one.

5h ago