তুরস্কে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা। ছবি: সংগৃহীত

তুরস্কের ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের মানবিক সহায়তা দিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছে দেশটিতে অধ্যায়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা।

গত ২৭ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন তুরস্কের (বাসাত) উদ্যোগে উসমানিয়ে প্রদেশের জেভদেতিয়ে কনটেইনার ক্যাম্পে মানবিক সহায়তাসামগ্রী বিতরণ করা হয়।

এর আগে রোববার ঐতিহাসিক ও বাণিজ্যিক শহর ইস্তাম্বুল থেকে ট্রাকে ১ কনটেইনার ত্রাণ নিয়ে স্বেচ্ছাসেবক দল ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় যায়।

তুরস্কের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ইমিগ্রেশন বিভাগের সমন্বয়ে সংগঠনটির ১৫ সদস্যের স্বেচ্ছাসেবক দল ক্যাম্পে সাময়িকভাবে আশ্রয়গ্রহণকারী ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেন।

ত্রাণের মধ্যে ছিল শোয়ার বালিশ, খাদ্যসামগ্রী, প্রসাধন ও শিশুদের খেলাধুলার সামগ্রী।

মানবিক সহায়তার পাশাপাশি বাসাতের স্বেচ্ছাসেবক দল আশ্রয়কেন্দ্রের শিশু-কিশোরদের মানসিকভাবে প্রেরণা দিতে তাদের সঙ্গে খেলাধুলা করে সময় কাটিয়েছে।

সহায়তা ও সহমর্মিতার জন্য ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারসহ আশ্রয়কেন্দ্রের কর্মকর্তারা বাংলাদেশিদের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।

বাসাত সভাপতি ওমর ফারুক হেলালী নেতৃত্বে স্বেচ্ছাসেবক দলে ছিলেন সাধারণ সম্পাদক নাসরুজ্জামান নাঈম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন, সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক মশিউর রহমান, স্কুল স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্স সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, সহকারী স্কুল অ্যাফেয়ার্স সম্পাদক গোলাম আজম, সহকারী অফিস সম্পাদক আব্দুর রহমান তাওফির, সহকারী বৃত্তি বিষয়ক সম্পাদক নাজমুল ইসলাম মজুমদার ও আল-আমিন, সহকারী পরিকল্পনা সম্পাদক রিমন আহমেদ, সদস্য হুমায়ুন কবির, শাহাদাত হোসাইন সোহান, নওশিন নাওয়ার, ফখরুদ্দীন রাজি ও আজিজুল হক।

ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত তুরস্কের মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য বাসাতের 'মানুষ মানুষের জন্য' শীর্ষক কর্মসূচিতে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রবাসীরা বাংলাদেশিরাও স্বতঃস্ফূর্তভাবে মানবিক সহায়তা করেন।

লেখক: শিক্ষার্থী, ইস্তাম্বুল কমার্স কলেজ, তুরস্ক

Comments

The Daily Star  | English

Eid meat: Stories of sacrifice, sharing and struggle

While the well-off fulfilled their religious duty by sacrificing cows and goats, crowds of people -- less fortunate and often overlooked -- stood patiently outside gates, waiting for a small share of meat they could take home to their families

12h ago