সীতাকুণ্ডে বিস্ফারণের ১৯ ঘণ্টা পর ঘটনাস্থলে প্ল্যান্টের ব্যবস্থাপক

আজ রোববার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে তিনি প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া প্ল্যান্টটিতে আসেন।
সীমা রি-রোলিং মিলের অক্সিজেন প্ল্যান্টের ব্যবস্থাপক আবদুল আলীম। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের কদমরসুল এলাকায় সীমা রি-রোলিং মিলের অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণের প্রায় ১৯ ঘণ্টা পর ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসেছেন প্ল্যান্টের ব্যবস্থাপক আবদুল আলীম।

আজ রোববার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে তিনি প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া প্ল্যান্টটিতে আসেন।

এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, 'কী কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে এখনো বলা যাচ্ছে না।'

তিনি দাবি করেন, তাদের ফায়ার সার্ভিস ও বিস্ফোরক পরিদপ্তরসহ সব সংস্থার ছাড়পত্র এবং সনদ নেওয়া আছে।

এই দুর্ঘটনায় কর্তৃপক্ষের ৫০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।

জানান, ২০১৮ সালে ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে অক্সিজেন প্ল্যান্টটি চালু করা হয়।

গতকাল শনিবার বিকেলে সংঘটিত এই বিস্ফোরণে অন্তত ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত ১৮ জন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তাদের ভেতর ৭ জনের অবস্থা গুরুতর।

বিস্ফোরণে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে অক্সিজেন প্ল্যান্টটি।

আজ সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার পক্ষ থেকে একটি দল ও বিস্ফোরক পরিদপ্তরের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

বিস্ফোরণে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া প্ল্যান্টটিতে দ্বিতীয় দিনের মতো উদ্ধার অভিযান চলছে। ছবি: মোহাম্মদ সুমন/স্টার

এখানে দ্বিতীয় দিনের মতো উদ্ধার কার্যক্রম চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস।

উদ্ধার অভিযান নিয়ে ফায়ার সার্ভিসের চট্টগ্রাম কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক মো. আবদুল হামিদ মিয়ার সাংবাদিকদের বলেন, 'রোববার ভোর থেকে চলা দ্বিতীয় দিনের অভিযানে আমরা এখন পর্যন্ত জীবিত বা মৃত কাউকে পাইনি '

তিনি আরও বলেন, 'আমরা কারখানার বিভিন্ন অংশ দীর্ঘক্ষণ ধরে পর্যবেক্ষণ করেছি। এতে মনে হয়েছে এখানে দ্বিতীয়বারের মতো বিস্ফোরণের কোনো আশঙ্কা নেই।' 

বিস্ফেরণের কারণ উদঘাটন সম্ভব হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'প্রাথমিকভাবে কিছুই অনুমান করা সম্ভব হচ্ছে না। কারখানার সিসি ক্যামেরা, কর্মী ও আশপাশের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে আমরা কারণ বোঝার চেষ্টা করছি।'

 

Comments