গাজীপুরে প্রকৌশলী হত্যা

সহকর্মীসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের তৎকালীন নির্বাহী প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেনকে ২০২০ সালে হত্যা করা হয়। ফাইল ছবি: প্রথম আলোর সৌজন্যে
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের তৎকালীন নির্বাহী প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেনকে ২০২০ সালে হত্যা করা হয়। ফাইল ছবি: প্রথম আলোর সৌজন্যে

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের তৎকালীন নির্বাহী প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেন হত্যা মামলায় তৎকালীন সহকারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ সেলিমসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। অভিযোগ মতে, ২০২০ সালের মে মাসে এই ৩ ব্যক্তি তাদের জ্যেষ্ঠ সহকর্মীকে হত্যা করেন।

ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ মোরশেদ আলম আদালতে অভিযোগপত্র পড়ে শোনানোর পর সেলিমের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হেলাল হাওলাদার ও হাবিবুর রহমান খান তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেন এবং ন্যায়বিচার দাবি করেন।

গত বছরের ২৯ জুন হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়ে আত্মগোপনে চলে যান মোহাম্মদ সেলিম। অভিযোগকারীর আইনজীবী এম কাওছার আহমেদ জানান, তার অনুপস্থিতিতে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।

আগামী ৭ মে মামলার বিচারিক কার্যক্রম শুরুর দিন ধার্য করেছেন বিচারক।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তুরাগ থানার পরিদর্শক শেখ মফিজুল ইসলাম ২০২১ সালের ৩ মে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে দেলোয়ার হোসেন হত্যা মামলার চার্জশিট দাখিল করেন।

৫ মে দেলোয়ারের সঙ্গে ঝগড়া হয় সেলিমের। এতে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে দেলোয়ারকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেন সেলিম। এরপর হেলাল হাওলাদার ওরফে হরিলা ঘোড়ামি ও মাইক্রোবাসের চালক হাবিবুর রহমান খানকে ভাড়ায় খাটান। এরপর ১১ মে সকালে সেলিম দুজনকে নিয়ে একটি মাইক্রোবাসে করে ঢাকার মিরপুরে দেলোয়ারের বাড়িতে যান। দেলোয়ারকে বের করে নিয়ে হত্যা করা হয়।

তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, সেলিম ও তার ২ সহযোগী মিলে দেলোয়ারকে হত্যা করে তার লাশ বেড়িবাঁধের কাছে উত্তরা ১৭ নম্বর সেক্টরের একটি ফাঁকা প্লটে ফেলে দেন।

দেলোয়ারের মুঠোফোনও দিশারী এলাকার একটি লেকে ফেলে দেন তারা।

ওইদিন বিকাল ৪টার দিকে বেড়িবাঁধ এলাকা থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

২০২০ সালের ১২ মে তার স্ত্রী খোদেজা আখতার শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ মর্গে দেলোয়ারের মরদেহ শনাক্ত করেন।

ওই দিনই অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে খোদেজা তুরাগ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

পরে বিভিন্ন স্থান থেকে সেলিমসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তারা পৃথক পৃথক দিনে ম্যাজিস্ট্রেটদের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

Comments

The Daily Star  | English
government decision to abolish DSA

A law that gagged

Some made a differing comment, some drew a political cartoon and some made a joke online – and they all ended up in jail, in some cases for months. This is how the Digital Security Act (DSA) and later the Cyber Security Act (CSA) were used to gag freedom of expression and freedom of the press.

13h ago