‘বেসরকারি খাতের বিকাশে আমি সবকিছু উন্মুক্ত করে দিয়েছি’

ছবি: বিটিভি থেকে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, 'বেসরকারি খাতে যদি বেশি গুরুত্ব না দিই, তাহলে ব্যবসা-বাণিজ্য বিনিয়োগে বেশি উন্নতি করা সম্ভব না। সে জন্যই এসব খাতের বিকাশে আমি সব কিছু উন্মুক্ত করে দিয়েছি।'

আজ শনিবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে 'বাংলাদেশ বিজনেস সামিট' উদ্বোধনের সময় তিনি এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, 'বাংলাদেশ বর্তমানে বিশ্বের দ্বিতীয় পোশাক রপ্তানিকারক দেশ। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রথম মেয়াদে ব্যবসা-বাণিজ্যের দ্বার আমি বেসরকারি খাতের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছিলাম। এটা তখনকার যুগে একটা সাহসী সিদ্ধান্ত ছিল।' 

'আমি মনে করি, বিচক্ষণ সামষ্টিক অর্থনীতিক ব্যবস্থাপনা, অর্থনৈতিক উদারীকরণ এবং বাণিজ্য সংহিতকরণের ওপর ভিত্তি করে আজকের এই অর্থনৈতিক টেকসই ও প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব হয়েছে।'


 
বিগত ১৪ বছরে বাংলাদেশে ব্যাপক অর্থনৈতিক উন্নতি সাধিত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'আমরা বাংলাদেশকে বিশ্বের দ্রুততম বর্ধনশীল একটি দেশে পরিণত করতে সক্ষম হয়েছি। এক সময়কার বাংলাদেশ দারিদ্রপিড়ীত বন্যা, খরা, ঘূর্ণিঝড় প্রাকৃতিক দুর্যোগের দেশ বলে পরিচিতি পেত। তবে এখন আর সেই অবস্থা নেই। এখন বাংলাদেশ বিশ্বের ৩৫তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ। উন্নয়নের রোল মডেল।' 

'অন্তত এইটুকু দাবি করতে পারি, সকলের সহযোগিতায় আমরা বাংলাদেশে ব্যাপক পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়েছি মাত্র ১৪ বছরের মধ্যে।' 

তিনি বলেন, 'বাংলাদেশ গত ১০ বছরে গড়ে ৬ দশমিক ৫ শতাংশের বেশি হারে জিডিপি অর্জন করেছে। এমনকি যখন কোভিড-১৯ মহামারির অভিঘাতে সারা বিশ্ব যখন অর্থনৈতিক মন্দায় পড়েছে, তখনো বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারা আমরা অব্যাহত রাখতে সক্ষম হয়েছি। কোভিডের পূর্বে ২০১৮ থেকে ২০১৯ অর্থবছর আমাদের প্রবৃদ্ধি ৮ ভাগে উন্নিত করতে সক্ষম হয়েছিলাম।'
 
২০০৬ সালে বাংলাদেশে দারিদ্রের হার ছিল ৪১ দশমিক ৫ শতাংশ উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'আমরা সেটা কমিয়ে ২০ শতাংশে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি। কোভিড মহামারি যদি না আসতো, অর্থনৈতিক মন্দা যদি না হতো, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে যে অর্থনৈতিক মন্দা যদি না হতো, তাহলে আমরা আরও অন্তত ২-৩ ভাগ দারিদ্রের হার কমিয়ে আনতে সক্ষম হতাম।'

শেখ হাসিনা আরও বলেন, 'উৎপাদন খাত ছাড়াও এই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সাফল্যের পেছনে রয়েছে ব্যক্তিখাতে ভোগ বৃদ্ধি, যাকে প্রাথমিকভাবে সহায়তা করেছে মধ্যবিত্ত শ্রেণির বিকাশ, শক্তিশালী গ্রামীণ অর্থিনীতি, প্রবাসী আয় বৃদ্ধি এবং গ্রামীণ ও জ্বালানী খাতের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন। দেশের এই অভাবনীয় উন্নতির পেছনে রয়েছে প্রাথমিকভাবে বেসরকারি খাত। মূলত তাদের নেতৃত্বে রপ্তানি আয় ২০০৮ সালের ১৬ দশমিক ১৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২০২২ সালে ৬০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছিল।'

Comments

The Daily Star  | English

NBR officials call off shutdown

Officials of the National Board of Revenue have decided to withdraw their nationwide shutdown in view of the broader interests of trade and commerce.

27m ago