কারিগরি বিদ্যায় আরও জোর দিতে হবে: শিক্ষামন্ত্রী

দীপু মনি, কারিগরি শিক্ষা, চাঁদপুর,
চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদে মিলনায়তনে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। ছবি: সংগৃহীত

শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা উন্নত করতে দেশের সব স্কুল ডিজিটাল করতে হবে। আমাদের পিছিয়ে থাকার কোনো উপায় নেই। তাই আমাদের কারিগরি বিদ্যায় আরও জোর দিতে হবে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদে মিলনায়তনে এসব বলেন তিনি।

তিনি বলেন, 'বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন। সমাজ পরিবর্তনের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার শিক্ষা। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা ছিল মুখস্থ করা। কিন্তু, এখন তা নয়। সারাবিশ্ব এখন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বিশ্ব। এখন করে করে শিখতে হবে। তাই আমরা এই শিক্ষা কারিকুলাম চালু করেছি। আমাদের আরও অনেক সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।'

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, 'পৃথিবীতে যে দেশ যত বেশী উন্নত সে দেশ কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষায় তত পারদর্শী। ২০০৯ সালে আমাদের কারিগরি শিক্ষার হার ছিল ১ শতাংশেরও কম। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃতে আমরা ১২ বছরে অর্থাৎ ২০২০ সাল পর্যন্ত ১৭ শতাংশ উন্নীত করেছি। এটি সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর সঠিক নেতৃত্বের কারণে।'

'আমাদের দেশে কারিগরি শিক্ষার বিষয়ে বঙ্গবন্ধু বার বার বলেছেন এবং এর ওপর জোর দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও তাই করেছেন,' বলেন তিনি।

দীপু মনি বলেন, 'আমরা বিশ্বাস করি আজ যারা টেকনিক্যাল ও ভোকেশনাল এডুকেশনে পড়ছে- আশপাশের অনেকে তাদের বলে, তুমি ভোকেশনালে পড়ছ? তার মানে ভোকেশনালে যারা পড়ে তাদের মেধা কম বলে মনে করে। আবার মনে করে তাদের আর্থিক অবস্থা ভালো না। কথাটা একেবারে সঠিক নয়। সারা পৃথিবীতে যে দেশ যত বেশি উন্নত হয়েছে, সে দেশ কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষায় পারদর্শী হয়েছে।'

দীপু আরও মনি বলেন, 'আমাদের শিক্ষার্থীদের উন্নত প্রযুক্তির শিক্ষা দিতে চাই। যেন তারা উন্নত বিশ্বে সমান তালে চলতে পারে। বর্তমান সরকার প্রধান শিক্ষায় বিনিয়োগ করছেন। স্মার্ট নাগরিক হওয়া সম্ভব স্মার্ট শিক্ষার মাধ্যমে। সবাই মিলে শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলব। কারিগরি শিক্ষা শিক্ষার্থীদের বৈষম্য দূর করে দিচ্ছে। তাই এই শিক্ষায় তোমাদের আরও উদ্বুদ্ধ হতে হবে। এই প্রথম বাংলাদেশে তাদের ক্লাস রুম করে দিলেন।'

Comments

The Daily Star  | English

JnU students vow to stay on streets until demands met

Jagannath University (JnU) students tonight declared that they would not leave the streets until their three-point demand is fulfilled

8m ago