কসবা রেলস্টেশন, সালদা রেলসেতু নির্মাণে আর কোনো বাধা নেই: পররাষ্ট্র সচিব

পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন আজ শনিবার আখাউড়া-লাকসাম রেলপথের ব্রা‏হ্মণবাড়িয়ার কসবা রেলস্টেশন এলাকা এবং সালদানদী রেলসেতুর নির্মাণকাজ পরিদর্শন করেন ছবি: স্টার

ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) বাধার কারণে আখাউড়া-লাকসাম রেলপথের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা রেলস্টেশন ও সালদা নদী রেলসেতুর নির্মাণকাজ যে বন্ধ ছিল, তা আর কখনো বন্ধ হবে না বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।

দীর্ঘ আড়াই বছর বন্ধ থাকার পর পুনরায় কাজ শুরু হওয়ার ৭ দিনের মাথায় আজ শনিবার দুপুরে কসবা রেলওয়ে স্টেশন এলাকা পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ মন্তব্য করেন তিনি।

মাসুদ বিন মোমেন বলেন, 'এখন থেকে কোনো বাধা থাকছে না বলে এই রেলপথ নির্মাণকাজ নির্দিষ্ট সময়ের আগেই শেষ হবে। সাম্প্রতিক সময়ে সমস্যাগুলো সমাধান করে রেলস্টেশন ও সালদা রেলসেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে। ৭ দিন ধরে পুরোদমে কাজ চলছে। এ নির্মাণকাজ শেষ হলে বাংলাদেশের জন্য যেমন ভালো হবে, তেমনি ভারতের জন্যও ভালো হবে।'

তিনি বলেন, 'পাশাপাশি বন্ধুরাষ্ট্র ভারতের সঙ্গে আমাদের যে যোগাযোগ আছে, তা আরও গুরুপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। কাজেই এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ কাজ।'

পররাষ্ট্র সচিব বলেন, 'ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা সীমান্ত হাটসহ সব কটি হাট শিগগিরই খুলে দেওয়া হবে। চালু করা হবে আরও বেশ কয়েকটি সীমান্ত হাট। এ ব্যাপারে খুব শিগগিরই ভারতীয় হাইকমিশনারের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।'

সীমান্ত হাটের গুরুত্ব উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, 'সীমান্ত হাটগুলো হচ্ছে ভারত-বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের সম্প্রীতির মেলবন্ধন। এ বন্ধন আরও মজবুত করতে সীমান্ত হাট খুলে দেওয়া হবে।'

এ সময় তার সঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ইন্সপেক্টর জেনারেল অব মিশনস আসাদ আলম সিয়াম, একই মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (দক্ষিণ এশিয়া) রকিবুল হক, পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম, বিজিবির কুমিল্লা সেক্টর কমান্ডার কর্নেল আবুল কালাম মোহাম্মদ শামসুদ্দিন রানা, ৬০ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মুহাম্মদ আশিক হাসানউল্লাহ, আখাউড়া-লাকসাম রেলপথ নির্মাণকাজ প্রকল্পের পরিচালক মো. সুবক্তগীনসহ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান তমা কনস্ট্রাকশনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, বিগত ২০১৬ সালের ১ নভেম্বর শুরু হয় আখাউড়া-লাকসাম রেলওয়ে প্রকল্পের কাজ। বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে কাজ চলছে এমন অজুহাতে গত ২০২০ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের বাধায় কাজটি বন্ধ হয়ে যায়। পরে দুই দেশের উচ্চ পর্যায়, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিজিবি-বিএসএফের মধ্যকার আলোচনার মাধ্যমে ফের গত ১২ মার্চ থেকে পুরোদমে কাজ শুরু হয়।

Comments

The Daily Star  | English

Govt publishes gazette of 1,558 injured July fighters

Of them, 210 have been enlisted in the critically injured "B" category, while the rest fall under the "C" category of injured fighters

50m ago