নাইকো দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াসহ ৮ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন

Begum Khaleda Zia
খালেদা জিয়া | ফাইল ছবি

নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ৮ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া বর্তমানে জামিনে রয়েছেন। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান তার অনুপস্থিতিতে অভিযোগগুলো পড়ে শোনান। আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদারের মাধ্যমে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার দাবি করেছেন খালেদা জিয়া।

এর আগে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য পরবর্তী নির্ধারিত তারিখে সময় চেয়ে আবেদন নাকচ করে দেন বিচারক।

মামলার অপর ৩ আসামি জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সিএম ইউসুফ হোসেন এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ বন্ধু গিয়াসউদ্দিন আল মামুনও নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন।

বিচারক ঢাকা ক্লাবের সাবেক সভাপতি সেলিম ভূঁইয়ার জামিন বাতিল করে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা দেন। তার অনুপস্থিতিতেই তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।

বিচার শুরুর জন্য ২৩ মে দিন ধার্য করেছেন আদালত।

শুনানির সময় বিচারকাজ স্থগিতের জন্য বারবার সময় আবেদনে অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারক।

এই মামলায় প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকীসহ ৩ জন পলাতক রয়েছেন।

২০০৭ সালের ডিসেম্বরে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মামলাটি দায়ের করে খালেদা জিয়াসহ বাকি আসামিদের বিরুদ্ধে। অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০০১ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে কানাডিয়ান কোম্পানি নাইকোকে গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলন চুক্তি দিতে ক্ষমতার অপব্যবহার করা হয়েছে।

সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপি নেতা একেএম মোশাররফ হোসেন ও সাবেক আইনমন্ত্রী মওদুদ আহমদসহ মামলার অপর ৩ আসামি মারা গেছেন। এই কারণে, মামলার অভিযোগ থেকে তাদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে।

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলাসহ ৩৩টি মামলার আসামি খালেদা জিয়াকে ২টি মামলায় বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে।

 

Comments

The Daily Star  | English
cyber security act

A law that gagged

Some made a differing comment, some drew a political cartoon and some made a joke online – and they all ended up in jail, in some cases for months. This is how the Digital Security Act (DSA) and later the Cyber Security Act (CSA) were used to gag freedom of expression and freedom of the press.

10h ago