ব্যাংক নিয়োগ পরীক্ষা

প্রশ্নফাঁসের মামলায় বুয়েট শিক্ষক নিখিল কারাগারে

অধ্যাপক নিখিল
নিখিল রঞ্জন ধর। ছবি: সংগৃহীত

ব্যাংক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে করা মামলায় বুয়েটের অধ্যাপক নিখিল রঞ্জন ধরকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

তার অন্তবর্তীকালীন জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন প্রত্যাখ্যান করে আজ সোমবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. রেজাউল করিম চৌধুরী এ আদেশ দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের উকিল তার জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদনের বিরোধিতা করে বলেন, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে এবং মামলায় তার জামিনের আবেদন খারিজ করে জেলে পাঠানো হোক।

২০২১ সালের নভেম্বরে ব্যাংক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গত ৫ ফেব্রুয়ারি নিখিল রঞ্জন ধরের বিরুদ্ধে দেওয়া চার্জশিট গ্রহণ করে আদালত।

পুলিশের দাখিল করা সম্পূরক চার্জশিট গ্রহণের পর ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. শহিদুল ইসলাম সেদিনই নিখিলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

পরে ৫ মার্চ আত্মসমর্পণের পর একই মামলায় কারা হেফাজতে ৩০ মিনিট থাকার পর ঢাকার আরেকটি আদালত থেকে জামিন পান এই অধ্যাপক।

৩১ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক শামীম আহমেদ ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সম্পূরক চার্জশিট দাখিল করেছিলেন। 

তবে, গত বছরের ১৬ নভেম্বর এই তদন্ত কর্মকর্তা অধ্যাপক নিখিলকে মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়ে চার্জশিট দাখিল করেন।

পরে কেন এবং কীভাবে অধ্যাপক নিখিলকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলো তা জানতে চেয়ে আদালত তদন্ত কর্মকর্তা শামীমকে কারণ দর্শানোর জন্য তলব করেন।

২০২১ সালের নভেম্বরে পাবলিক পরীক্ষা (অপরাধ) আইনে বাড্ডা থানায় মামলাটি করা হয়।

২০২১ সালের ৬ নভেম্বর ৫ ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় এ পর্যন্ত ৫ ব্যাংকার ও আহসানউল্লাহ্ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ কর্মকর্তাসহ ১১ জনকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

পরীক্ষা শেষ হওয়ার আগেই উত্তরসহ প্রশ্নপত্রের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়।

প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ উপেক্ষা করে এবং তাৎক্ষণিক কোনো তদন্ত করেনি।

পরে, গণমাধ্যমে প্রশ্নফাঁস হওয়ার খবর প্রকাশিত হলে পরীক্ষা বাতিল করা হয়।

প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় গ্রেপ্তার এক ব্যক্তির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে অধ্যাপক নিখিলের নাম উঠে আসে।

ওই ঘটনার পর ২০২১ সালের ২১ নভেম্বর শিল্প ও উৎপাদন প্রকৌশল বিভাগের চেয়ারম্যান পদ এবং পরীক্ষা সংক্রান্ত দায়িত্ব থেকে নিখিল ধরকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

Comments

The Daily Star  | English

Sada Pathor Looting: Admin officials, law enforcers involved

Some government officials  including members of law enforcement agencies were involved in the rampant looting of stones from Bholaganj’s Sada Pathor area, found a probe committee of the Sylhet district administration.

6h ago