খেলোয়াড়দের ‘সাইকোলজিক্যাল সেফটি’ দিয়ে ড্রেসিংরুমে বদল এনেছেন হাথুরুসিংহে

Chandika Hathurusingha
চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। ছবি: ফিরোজ আহমেদ/ স্টার

দ্বিতীয় দফায় দায়িত্ব নিয়ে বাংলাদেশ এসে এক মাসের কিছু বেশি সময় পার করেছেন চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। সময়টা অল্প তবে এরমধ্যেই ড্রেসিংরুমের পরিবেশে একটা ইতিবাচক বদল আনার দাবি করলেন তিনি। খেলোয়াড়দের নির্ভার রেখে সেরাটা বের করে আনার উপায় নাকি তিনি ধরে ফেলেছেন।

বাংলাদেশের প্রধান কোচ হিসেবে গত ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয় হাথুরুসিংহে নতুন অধ্যায়। ২০ ফেব্রুয়ারি কাজে যোগ দিয়ে পরদিন থেকেই মাঠে নেমে পড়েন তিনি। এরপর থেকে তার উপস্থিতি দেখা গেছে প্রবল।

ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দুই দলেই কিছু কাঠামোগত বদল এনেছেন। কিছু খেলোয়াড় বাদ পড়েছেন, নতুন এসেছেন কেউ কেউ। রোববার চট্টগ্রামে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের কোচের কাছে জানতে চাওয়া হয়, তার এবারে অবস্থানকালে কি কি বদল এলো দলে?  একটু ভেবে বের করলেন উত্তর, যাতে মিশে থাকল ভাবনার খোরাক,  'একই ক্রিকেটার, স্কিলও তো একই। মনে হয় না কোন বদল হয়েছে। শুধু ড্রেসিংরুমের পরিবেশ বদলেছে। আমরা এখন যেভাবে কথা বলি, যা নিয়ে আলাপ করি। তাতে দলের মধ্যে সাইকোলজিক্যাল সেফটি  (মনস্তাত্ত্বিক নিরাপত্তা) আনার চেষ্টা করছি।' 

সাইকোলজিক্যাল সেফটি ব্যাপারটা পরে আরেকটি ব্যাখ্যা করে দিলেন তিনি,  'তাদেরকে বলছি খেলার ফল যাই হোক, ভালো করুক বা ব্যর্থ হোক। তাদের মূল্য আছে। সবাই একই ক্রিকেটার, সবাইকে একই চোখে দেখি। তারা আমার কাছে মূল্যবান, স্কিলসেটের কারণেই তাদের দলে নিয়েছি। এর বাইরে কিছু বদলেছে বলে মনে হয় না, স্কিল একই আছে।'

পরিস্থিতির দাবি অনুযায়ী আগ্রাসী ক্রিকেট খেলা, আড়ষ্ট না থেকে নিজেদের মেলে ধরা। এবং মাঠে নেমে একটি অভিপ্রায় দেখানোর উপর জোর দেন তিনি। নিবেদনের জায়গা ঠিক থাকলে কেউ ব্যর্থ হলেও বাংলাদেশের কোচ দিবেন না কোন ডিমেরিট পয়েন্ট,  'একটু আগেই বললাম, একটা শব্দে এটা তোলে ধরা যায়-  "সাইকোলজিক্যাল সেফটি।" ভারি শব্দ এটি। যেমন এমন একটা পরিবেশ তৈরি করতে পারেন যেখানে খেলোয়াড়রা ফলাফল ও তার প্রভাব নিয়ে না ভেবে নির্ভার হয়ে নিজেদের উজাড় করে দিতে পারল। তারা যদি খোলা মনে চেষ্টা করে ব্যর্থও হয় তবু ঠিক আছে। তারা আমার কাছে আগের মতনই থাকবে, আস্থা থাকবে তাদের উপর।'

দায়িত্বের নতুন মেয়াদে হাথুরুসিংহের পারফরম্যান্স বেশ ভালোই বলা চলে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ ২-১ ব্যবধানে হারলেও টি-টোয়েন্টিতে জস বাটলারদের হোয়াইটওয়াশ করে ফেলে বাংলাদেশ। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে জয় এসেছে অনায়াসে।

তবে খেলোয়াড়দের ভেতর থেকে ঝাঁজটা বের করে এনে সব সময় ফল না পেলেও অখুশি হবেন না তিনি,  'আমি মনে করি সাম্প্রতিক সময়ে এটাই সবচেয়ে বড় বদল। অন্য কোচরাও আমাকে বলেছেন এটিই আসল পরিবর্তন। আমি জানি একটা পরিবেশ তৈরি করতে পারলে তারা সেরাটা দিতে পারবে। সেরাটাও মাঝেমধ্যে যথেষ্ট হবে না, তখন আমরা হারব। সেটাও ঠিক আছে, এটাই তো খেলা।'

Comments

The Daily Star  | English

Why was July 2025 wetter in Bangladesh?

Bangladesh experienced three low-pressure systems on July 7, July 14 and July 24 which led to heavy rain

25m ago