বার্নিকাটের গাড়িবহরে হামলা: অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন ৭ মের মধ্যে জমার আদেশ

বার্নিকাটের গাড়িবহরে হামলা: তদন্ত প্রতিবেদন ৩০ মার্চ
সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট। স্টার ফাইল ছবি

বাংলাদেশে দায়িত্ব পালনকালে মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাটের গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলাটির অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন আগামী ৭ মের মধ্যে জমা দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন আদালত।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. রাশিদুল আলম নতুন তারিখ নির্ধারণ করেন।

এদিন এই মামলায় অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা ছিল। তদন্তকারী সংস্থা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) প্রতিবেদন জমা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় সময় চেয়ে আবেদন করেন।

রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি মো. আব্দুল্লাহ আবুর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. শহিদুল ইসলাম এই মামলার অধিকতর তদন্তের আদেশ দিয়েছিলেন।

আবেদনে পিপি জানান, অভিযোগকারীসহ আরও ৫ জন এর আগে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন এবং তাদের মধ্যে ৩ জন আসামি হিসেবে অভিযোগকারী বদিউল আলম মজুমদারের শ্যালক ইশতিয়াক মাহমুদের নাম উল্লেখ করেছেন।

তদন্ত কর্মকর্তা অভিযোগপত্রে তার নাম অন্তর্ভুক্ত করেননি। এ কারণে হামলার পেছনে প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করতে আরও তদন্ত প্রয়োজন বলে জানান তিনি।

২০১৮ সালের ৪ আগস্ট রাতে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারের মোহাম্মদপুর এলাকার বাসায় নৈশভোজে অংশ নেন মার্শা বার্নিকাট। নৈশভোজ শেষে রাত ১১টার দিকে ফেরার পথে সশস্ত্র একদল মোটরসাইকেল আরোহী রাষ্ট্রদূতের গাড়িতে হামলা চালায়। হামলাকারীরা গাড়িবহরের দিকে এগোনোর সময় তাদের বাধা দেওয়া হলে রাষ্ট্রদূতের নিরাপত্তা দলের ২ সদস্যকে ঘুষি মারে হামলাকারীরা। গাড়িবহর চলে যাওয়ার সময় দুটি গাড়িতে লাঠি দিয়ে আঘাত করা হয়। এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বাদী হয়ে মামলা করেন।

গত বছরের ১ মার্চ আদালত ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। তারা হলেন, ফিরোজ মাহমুদ, নাঈমুল হাসান রাসেল, মীর আমজাদ হোসেন আকাশ, সাজু ইসলাম, রাজিবুল ইসলাম রাজু, শহীদুল আলম খান কাজল, মোজাহিদ আজমি তান্না, সিয়াম ও অলি আহমেদ জনি।

Comments

The Daily Star  | English

Finance adviser sees no impact on tax collection from NBR dissolution

His remarks came a day after the interim government issued an ordinance abolishing the NBR and creating two separate divisions under the finance ministry

3h ago