অপূর্ব ভাইয়া খুব ভদ্র একজন মানুষ: কেয়া পায়েল

কেয়া পায়েল, অপূর্ব, নাটক, ঈদ,
কেয়া পায়েল। ছবি: সংগৃহীত

বাংলা নাটকের এই সময়ের আলোচিত মুখ কেয়া পায়েল। ইতোমধ্যে নিজের অভিনয় দক্ষতা দিয়ে দর্শকের মন জয় করেছেন। বর্তমানে ব্যস্ত আছেন ঈদের নাটকের শুটিং নিয়ে। সম্প্রতি ডেইলি স্টারের সঙ্গে কথা বলেন এই অভিনেত্রী।

বর্তমান ব্যস্ততা কী নিয়ে?

অভিনয় নিয়েই আমার যত ব্যস্ততা। কিছু দিন আগেও ভালোবাসা দিবসের শুটিং নিয়ে অনেক ব্যস্ত ছিলাম। এখন ঈদের নাটকের শুটিং করছি। বেশ কয়েকটি নাটক ঈদের প্রচার হবে বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে। অপূর্বর বিপরীতে শুটিং শেষ করেছি প্রিয় প্রি হানিমুন নাটকের। শিহাব শাহীনের পরিচালনায় আমি ও অপূর্ব আরেকটি নাটক করব। সুনামগঞ্জে একটি ঈদের নাটকের শুটিং করেছি। জাকারিয়া সৌখিন পরিচালনায় নাটকটির নাম উড়াল পাখি। মোস্তফা কামাল রাজের একটি নাটক করেছি। আমার বিপরীতে আছেন তৌসিফ। মিফতা আনানের একটি নাটক করব।

ঈদের নাটকে দর্শকদের কেমন সাড়া পান?

অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি সাড়া পাই। ঈদের সময় নাটক দেখার পরিমাণ কয়েকগুণ বেড়ে যায়। অনেক মানুষ টিভি সেটের সামনে বসে, আমিও বসি। আপনজনদের কাছ থেকে বেশি ফিডব্যাক পাই। সবার জন্য সময়টা স্পেশাল।

ঈদের নাটকগুলোতে কি চরিত্র বা গল্পে ভিন্নতা আছে?

শতভাগ আছে। সবগুলো স্ক্রিপ্ট আমার হাতে। একই ধরণের গল্প একটিও  না। নানারকম চরিত্রে  ও গল্পে অভিনয় করছি। যে চরিত্র প্লে করছি তা জীবন থেকে নেওয়া। আমাদের চারপাশের চরিত্র। কিন্তু, ভিন্ন ভিন্ন চরিত্র অবশ্যই।

এমন কোনো চরিত্র আছে যে চরিত্রে অভিনয়ের জন্য অপেক্ষা করছেন?

হ্যাঁ, আছে। আমি এমন একটি চরিত্রে অভিনয় করতে চাই, যা দর্শক সারাজীবন মনে রাখবেন। আমিও মনে রাখব। মানুষের জীবনী অবলম্বনে তেমন কিছু করতে চাই। অপেক্ষা করছি এমন চরিত্রের জন্য।

অভিনয় শেখার বিষয়ে বলুন...

শেখার বিষয়টি সারাজীবনের। নিয়মিত কাজ করছি এবং প্রতিনিয়ত শিখছি। নতুন নতুন চরিত্রে কাজ করার সময় শিখি। শেখার কোনো শেষ নেই। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত শিখে যাব। অবসরে অনেক নাটক দেখি। দেখেও শেখার আছে।

অভিনেতা অপূর্বর সঙ্গে বেশ কিছু কাজ করছেন, তাকে নিয়ে আপনার মন্তব্য...

অপূর্ব ভাইয়া আমার ভীষণ পছন্দের অভিনেতা। তিনি খুব ভদ্র একজন মানুষ এবং ভদ্র একজন কো-আর্টিস্ট। অভিনেতা হিসেবে কতটা হেল্প করেন তা বলে বোঝানো যাবে না। আমার সিনিয়র তিনি। সংলাপ কিভাবে দেব তাও বলে দেন। একটি নাটক সুন্দর করতে অনেক সহযোগিতা করেন সহ-শিল্পী হিসেবে। তার সঙ্গে যেসব নাটক করেছি সব দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছে।

জুটি প্রথায় বিশ্বাস করেন?

না, আমি জুটি প্রথায় বিশ্বাস করি না।

শোবিজে কাজ করার বিষয়ে পরিবার কতটা সাপোর্ট করে?

শুরুতে রাত হলে বকাবকি করত। এত রাত নাগাদ শুটিং কেন? এসব বলত। তারপর একদিন  পরিবারের সদস্যকে নিয়ে আসছি, বসিয়ে রেখেছি। তখন বুঝতে পেরেছেন কেন এত দেরি হয়। বাবা খুব একটা আমার কাজ দেখেন না। মা বলেন, ভালো বেটার করতে পারতে। ভালো হলে প্রশংসা করে।

এবারের ঈদ নিয়ে পরিকল্পনা?

ঈদে বেশিরভাগ সময় বাসায় থাকি। এবারও তাই করব। বাসা আমার বিশ্রামের জায়গা। এ সময় চেষ্টা করব নিজের এবং অন্যদের কাজগুলো দেখার।

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh-Myanmar border landmine explosion

Bangladesh-Myanmar border: Landmine-related injuries on the rise

Having lost her right leg in a landmine explosion, Nur Kaida, a 23-year-old Rohingya woman, now feels helpless at a refugee camp in Teknaf.

12h ago