'২০৩০ সালের মধ্যেই' ক্যানসার ও হৃদরোগের টিকা'

মডার্নার টিকা। প্রতিকী ছবি: রয়টার্স
মডার্নার টিকা। প্রতিকী ছবি: রয়টার্স

নতুন ও যুগান্তকারী কিছু টিকার মাধ্যমে ক্যানসারের মতো দুরারোগ্য ব্যাধি থেকে মুক্ত থাকবে মানুষ, বেঁচে যাবে লাখো জীবন। এমনটাই জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

গতকাল শনিবার যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান টিকা প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান মডার্নার বরাত দিয়ে জানিয়েছে, ২০৩০ সাল নাগাদ ক্যানসার, কার্ডিওভাসকুলার, অটোইমিউন রোগ ও অন্যান্য জটিল রোগের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দিতে টিকা প্রস্তুত হতে পারে। 

এ ধরনের টিকার ক্ষেত্রে 'বড় ধরনের সম্ভাবনা' দেখা যাচ্ছে উল্লেখ করে কিছু গবেষক জানান, করোনাভাইরাসের টিকা আবিষ্কারে মাত্র ১ থেকে দেড় বছরের মতো সময় লেগেছে। যার ফলে সার্বিকভাবে টিকাখাতের গত ১৫ বছরের অনেক প্রশ্নের জবাব পাওয়া গেছে।

মার্কিন ফার্মাসিউটিকাল প্রতিষ্ঠান মডার্নার প্রধান মেডিকেল কর্মকর্তা ড. পল বার্টন জানান, তার বিশ্বাস, আগামী ৫ বছরের মাঝে তার প্রতিষ্ঠানটি 'সব ধরনের রোগের' চিকিৎসার জন্য এ ধরনের সমাধান দিতে পারবে। 

মডার্না করোনাভাইরাসের টিকা আবিষ্কারে অগ্রগামী ভূমিকা পালন করে। পল জানান, মডার্না এখন বিভিন্ন ধরনের টিউমারের চিকিৎসায় টিকা তৈরি করছে।

পল বলেন, 'আমাদের হাতে এই টিকা চলে আসবে এবং এটি অত্যন্ত উপযোগী হবে। যার ফলে কোটি না হলেও, লাখো মানুষের জীবন বাঁচবে। আমার ধারণা, আমরা বিভিন্ন ধরমের টিউমারে আক্রান্ত সারা বিশ্বের মানুষের জন্য ক্যানসার টিকা তৈরি করতে পারব।'

তিনি আরও জানান, শ্বাসযন্ত্রের বেশ কয়েক ধরনের সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য ১টি টিকাই যথেষ্ট হবে। এর মাধ্যমে মানুষ করোনাভাইরাস, ফ্লু ও অন্যান্য আরএসভি ভাইরাসের বিরুদ্ধে সুরক্ষা পাবে। এছাড়াও, কিছু দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত রোগীরা এমআরএনএ থেরাপি নেওয়ার সুযোগ পাবেন। এ মুহূর্তে এসব রোগের কোনো চিকিৎসা নেই বললেই চলে।

পল বলেন, 'আমার ধারণা, এর আগে যেসব জটিল ও বিরল রোগের জন্য কোনো ওষুধ ছিল না, সেগুলোর ক্ষেত্রে এমআরএনএ ভিত্তিক থেরাপি ব্যবহার করা যেতে পারে। ১০ বছর নাগাদ আমরা এমন একটি পর্যায়ে পৌঁছে যাব, যখন বংশগত কারণে কারো কোনো রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকলে তা সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করা যাবে এবং খুব সহজেই এমআরএনএ ভিত্তিক প্রযুক্তির মাধ্যমে তা "সংশোধন"করা যাবে।'

তবে বিজ্ঞানীরা সতর্ক করেছেন, গত ৩ বছরে টিকাখাতের যে অভাবনীয় অগ্রগতি দেখা গেছে, তা ধরে রাখতে উচ্চ পর্যায়ের অর্থায়ন অব্যাহত রাখা প্রয়োজন।

এমআরএনএ ভিত্তিক থেরাপিতে দেহের রোগ প্রতিরোধকারী কোষগুলোকে কোনো একটি সুনির্দিষ্ট রোগের বিরুদ্ধে লড়ার জন্য প্রয়োজনীয় প্রোটিন তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়।

 

Comments

The Daily Star  | English

A transitional budget for troubled times

Govt signals people-centric priorities but faces tough trade-offs

3h ago