মঙ্গল শোভাযাত্রা মানুষের কল্যাণের জন্য: রামেন্দু মজুমদার

রামেন্দু মজুমদার, মঙ্গল শোভাযাত্রা, বাংলা নববর্ষ, পহেলা বৈশাখ,
রামেন্দু মজুমদার। স্টার ফাইল ছবি

বাংলাদেশের অন্যতম নাট্যব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার। তিনি মঞ্চ নাটকের দল থিয়েটারের প্রধান ব্যক্তিত্ব এবং ইন্টারন্যাশনাল থিয়েটার ইন্সটিটিউটের বর্তমান অনারারি প্রেসিডেন্ট। মঞ্চ নাটক সমৃদ্ধিতে রেখেছেন গুরুত্বপূর্ণ অবদান।

সাংস্কৃতিক আন্দোলন ছাড়াও গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সবসময় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন রামেন্দু মজুমদার। সম্প্রতি মঙ্গল শোভাযাত্রা বন্ধে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন এই আইনজীবী। এই বিষয়টি নিয়ে দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে কথা বলেছেন রামেন্দু মজুমদার।

রামেন্দু মজুমদার বলেন, 'বাংলা নতুন বছরের প্রথম দিন আমরা সবাই একত্রে মিলিত হই। এই দিনটি সব বাঙালির। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার। সবাই দিনটি উদযাপন করেন, অপেক্ষা করেন। বিশেষ এই দিনে দীর্ঘ দিন ধরে মানুষের মঙ্গল কামনা করে মঙ্গল শোভাযাত্রা হয়ে আসছে। তাই বলব, মঙ্গল শোভাযাত্রা মানুষের কল্যাণের জন্য।'

'এটাকে যদি ধর্মের সঙ্গে মেলানো অন্যায় হবে। দুটো দুই রকম বিষয়। মঙ্গল শোভাযাত্রা ইউনেস্কো সাংস্কৃতিক ঐহিত্যের স্বীকৃতি পেয়েছে। বাঙালির প্রাণের উৎসব হচ্ছে পহেলা বৈশাখ, সেই সুন্দর দিনটিতে মঙ্গল শোভাযাত্রা হয়ে আসছে,' বলেন তিনি।

তিনি বলেন, 'পহেলা বৈশাখ বাঙালির প্রধান অসাম্প্রদায়িক উৎসব। এই দিনটির সঙ্গে কত কী জড়িত। বাঙালির চেতনার জায়গা থেকে দিনটির গুরুত্ব বিশাল। সবার সঙ্গে সবাই মিলিত হওয়ার দিন। যা অন্য কোনো উৎসবে সম্ভব নয়। আমাদের জাতীয় জীবনে পহেলা বৈশাখ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মঙ্গল শোভাযাত্রা বন্ধে যে আইনি নোটিশ দেওয়া হয়েছে- আমি বিশ্বাস করি তা টিকবে না। কারা এর পেছনে ইন্ধন যোগাচ্ছে জানি না, কিন্তু অতীতেও এমন হয়েছে। পাকিস্তান আমল থেকে ইন্ধন দিয়ে আসছে বাঙালির চেতনাকে থামিয়ে দিতে। যারা এই কাজ করছে তারা লেবাস পরে আছে। আমরা কিন্তু প্রতিবাদ করছি। প্রতিবাদ আরও জোরে হবে। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট থেকে প্রতিবাদ করা হয়েছে।'

রামেন্দু মজুমদারের ভাষ্য, 'আমি মনে করি, এরকম নোটিশ দেওয়ার জন্য এবারের পহেলা বৈশাখে কোনো প্রভাব পড়বে না। প্রভাব পড়তে পারেও না। বরং আগের চেয়ে আরও বেশি মানুষ একত্রিত হবে দিনটিতে। কেননা- এটাতো বাঙালির দিন। বাঙালি সংস্কৃতির ওপর আঘাত করার যে চিন্তা, তা বেশিদূর এগোবে না। এটা রুখতেই হবে। অপশক্তির পরাজয় হবে। সত্য ও সুন্দরের জয় হবে।'

'কতভাবে আমাদের ওপর আঘাত এলো। বহুবছর আগে আমাদের ভাষার ওপর আঘাত এসেছি। কিন্তু অপশক্তির পরাজয় হয়েছে। আমরা জয়ী হয়েছি। সাংস্কৃতিক লড়াই থেকে রাজনৈতিক লড়াইয়ে পৌঁছাতে পেরেছিলাম তখন। এবারও পারব,' যোগ করেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English
Unhealthy election controversy must be resolved

Unhealthy election controversy must be resolved

Just as the fundamental reforms are necessary for the country, so is an elected government.

15h ago