হেমায়েতপুর

সংস্কার অভাবে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে ২ যুগ আগের আশ্রয়ণের ঘর

সংস্কার অভাবে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে ২ যুগ আগের আশ্রয়ণের ঘরসংস্কার অভাবে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে ২ যুগ আগের আশ্রয়ণের ঘর
নির্মাণের পর থেকে রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামতের অভাবে বেশিরভাগ ঘর এখন ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ছবি: স্টার

পাবনা সদর উপজেলার হেমায়েতপুর গ্রামে প্রায় ২ যুগ আগে নির্মিত টিনশেডের আশ্রয়ণের ঘরগুলো সংস্কারের অভাবে বসবাস অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়ায় অনেকে ইতোমধ্যে এসব ঘর ছেড়ে চলে গেছেন। আবার অনেকে বাধ্য হয়ে এখনো জরাজীর্ণ ঘরেই বসবাস করছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০০০-২০০১ সালের দিকে হেমায়েতপুরে টিনশেড ব্যারাক নির্মাণ করে প্রায় ৩০০ ছিন্নমূল ও হতদরিদ্র মানুষের আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়। তবে নির্মাণের পর থেকে রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামতের অভাবে বেশিরভাগ ঘর এখন ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, ঘরের টিনগুলোতে মরচে পড়ে গেছে। সিমেন্টের অনেকগুলো খুঁটিও ভেঙে পড়েছে।

ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়লেও আর কোথাও যাওয়ার জায়গা না থাকায় বাধ্য হয়ে এখনো অনেককে ভাঙা ঘরেই থাকতে হচ্ছে ছবি: স্টার

ব্যারাকের বাসিন্দা ঝন্টু মিয়া দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বেশিরভাগ ঘরের টিন মরচে পড়ে নষ্ট হয়ে গেছে। অনেক ঘরের সিমেন্টের খুঁটি ভেঙে পড়েছে। ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়লেও আর কোথাও যাওয়ার জায়গা না থাকায় বাধ্য হয়ে এখনো আমাদের এখানেই থাকতে হচ্ছে।'

'নির্মাণের পর থেকে সংস্কার না করায় বেশিরভাগ ঘর ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বাসিন্দারা নিজেরা অস্থায়ীভাবে কোনোরকমে মেরামত করে বসবাস করার চেষ্টা করলেও এগুলো সরকারি স্থাপনা হওয়ায় নিজেদের ইচ্ছেমতো কিছুই করা সম্ভব নয়', বলেন ব্যারাকের আরেক বাসিন্দা শরিফুল ইসলাম।

তিনি আরও জানান, ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ায় অনেকেই ব্যারাকের ঘর ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছেন। ইতোমধ্যে প্রায় শতাধিক বাসিন্দা ঘর ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছেন। তবে, যাওয়ার জায়গা না থাকায় প্রায় ২০০ মানুষ এখনো সেখানেই বাস করছেন।

সরকারিভাবে উদ্যোগ নিয়ে ঘরগুলো মেরামত করার দাবি জানান ব্যারাকের বাসিন্দারা, যাতে করে তাদের আশ্রয়টা বসবাসযোগ্য হয়।

হেমায়েতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম খান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'গত বছর হেমায়েতপুর ইউনিয়নে ৪৫টি নতুন আশ্রয়ণের ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। সেগুলো হস্তান্তর করা হয়েছে নতুন ৪৫ সুবিধাভোগীকে।'

'তবে পুরোনো এই ব্যারাকের সংস্কারের পরিকল্পনা থাকলেও বরাদ্দ না পাওয়ায় এখনো সংস্কারকাজ হাতে নেওয়া সম্ভব হয়নি', যোগ করেন তিনি।

পাবনা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিদা আক্তার ডেইলি স্টারকে বলেন, 'হেমায়েতপুরের এই ব্যারাকটি অনেক পুরোনো। সেটি সংস্কারের জন্য কী কী করতে হবে, তা নির্ধারণ করতে ইতোমধ্যে একটি টিম কাজ শুরু করেছে। এটি সংস্কারের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হবে।'

Comments

The Daily Star  | English

Govt publishes gazette of 1,558 injured July fighters

Of them, 210 have been enlisted in the critically injured "B" category, while the rest fall under the "C" category of injured fighters

2h ago