‘নিরপেক্ষ-অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য রাষ্ট্রপতি হিসেবে যা করার তাই করব’

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ছবি: সংগৃহীত

নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, 'একটি নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য রাষ্ট্রপতি হিসেবে যা করণীয় তাই করব।'

আজ রাজধানীর গুলশানে তার লেখা 'এগিয়ে যাও বাংলাদেশ' বইটি আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, 'সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন…সকলে মুখে মুখে বলছি নির্বাচন খুব ক্রুশিয়াল হবে, কিন্তু আমি মনে করি কোনো ক্রুশিয়াল নয়।'

তিনি আরও বলেন, 'দেশে একটি সংবিধান আছে। কারও মাথা ঘামানোর প্রয়োজন নেই।'

তিনি আশা করেন যে, দেশের সংবিধান অনুযায়ী স্বাধীন নির্বাচন কমিশন (ইসি) তাদের সর্বোচ্চ স্বাধীনতা প্রয়োগ করে সংবিধানের আলোকে একটি নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক এবং গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে সক্ষম হবে।

নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি বলেন, সেখানে একজন সুপ্রিম কমান্ডার হিসেবে আমার যেটুকু দায়িত্ব- এই নিরপেক্ষতাটাকে বজায় রাখার জন্য, সমস্ত আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য- যতটুকু প্রয়োজন করব।

এর পাশাপাশি রাষ্ট্রপতি হিসাবে মনোনীত করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন তিনি। আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলী ও কার্যনির্বাহী কমিটিসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকেও ধন্যবাদ জানান।

তার লেখা বই সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে তিনি বলেন, বিভিন্ন ঘটনাবহুল প্রবন্ধ সমৃদ্ধ বই 'এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ' গ্রন্থের পাতায় পাতায় বিধৃত হয়েছে শৈশব থেকে শুরু করে পুরো জীবনের কথা; সংগ্রাম, রাজনীতি, মুক্তিযুদ্ধ, জেলজীবন, কর্মজীবন, সংসার-জীবন, চিন্তাদর্শ তথা সবকিছুর পরিচয়।

২০৪ পৃষ্ঠার এই বইটিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে তার দুষ্প্রাপ্য ও ঐতিহাসিক কিছু আলোকচিত্র যুক্ত করা হয়েছে।

নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি বলেন, তার ব্যক্তিজীবন এবং সমকালীন রাজনৈতিক ঘটনাবলী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ তথা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সেগুলোর একটা ব্যাপকভিত্তিক পরিচয় উঠে এসেছে বইটিতে।

বইটি প্রকাশের জন্য আগামী প্রকাশনী ও এর গবেষকসহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন তিনি।

২০২৩ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন মো. সাহাবুদ্দিন। আগামী ২৪ এপ্রিল সকাল ১১টায় বঙ্গভবনে তার শপথ নেওয়ার কথা আছে।

Comments

The Daily Star  | English
cyber security act

A law that gagged

Some made a differing comment, some drew a political cartoon and some made a joke online – and they all ended up in jail, in some cases for months. This is how the Digital Security Act (DSA) and later the Cyber Security Act (CSA) were used to gag freedom of expression and freedom of the press.

7h ago