থাই নারীর বিরুদ্ধে সায়ানাইড প্রয়োগে ১৩ জনকে হত্যার অভিযোগ

পুলিশের হেফাজতে ১৩ জনকে হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত সারারাত রাংসিউথাপর্নকে (৩৬)। ছবি: রয়টার্স
পুলিশের হেফাজতে ১৩ জনকে হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত সারারাত রাংসিউথাপর্নকে (৩৬)। ছবি: রয়টার্স

থাইল্যান্ডে ১৩ ব্যক্তিকে বিষাক্ত উপকরণ সায়ানাইডযুক্ত ট্যাবলেট ব্যবহার করে হত্যার অভিযোগে পুলিশ এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে।

আজ শুক্রবার বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, পুলিশ সেই নারীর বিরুদ্ধে তদন্ত প্রক্রিয়াকে আরও বিস্তৃত করবে।

সম্প্রতি থাইল্যান্ডজুড়ে এসব হত্যার ঘটনা আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে।

পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তারকৃত নারী সারারাত রাংসিউথাপর্নের (৩৬) বিরুদ্ধে ১ ব্যক্তিকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আনা হয়েছে। বাকি ব্যক্তিদের হত্যার বিষয়ে এখনো তদন্ত চলছে। সারারাত তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

থাই পুলিশের প্রধান দামরংসাক কিত্তিপ্রাফাত গতকাল গণমাধ্যমকে বলেন, 'এটি পূর্বপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।'

তিনি সারারাতের এক ভ্রমণসঙ্গীর কথা উল্লেখ করে বলেন, নিহত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যরা সারারাতের বিষয়ে তাদের সন্দেহের কথা কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলেন।

সারারাতের সঙ্গে যোগাযোগ থাকা অপর নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যরাও তদন্তে সহায়তায় এগিয়ে এসেছেন। তারা গণমাধ্যমকে জানান, তাদের পরিবারের সদস্যদের মৃত্যুর ঘটনাগুলোও সন্দেহজনক। গত বুধবার সারারাতকে কারা হেফাজতে নেওয়া হয়।

পুলিশের কর্নেল আনেক থাওসুপার্প গণমাধ্যমকে বলেন, 'আমাদের হাতে (সায়ানাইড বিষের) সঙ্গে তার সংযুক্তির প্রমাণ আছে।' তিনি জানান, খুব সম্ভবত তার বড় বোনের দোকান থেকে এই বিষ সংগ্রহ করা হয়েছিল।

পুলিশের বরাত দিয়ে থাইল্যান্ডের স্থানীয় গণমাধ্যম থাইপিবিএস জানায়, নিহতদের সবাই সারারাতের পরিচিত ছিলেন। খুব সম্ভবত আর্থিক কারণে তাদেরকে হত্যা করা হয়েছে।

সংবাদ প্রতিবেদনে বলা হয়, বিষপ্রয়োগের শিকার হয়েও এক নারী বেঁচে আছেন। তাকে এখন জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

Comments

The Daily Star  | English
Prof Yunus in Time magazine's 100 list 2025

Prof Yunus named among Time’s 100 Most Influential People of 2025

A tribute article on Prof Yunus was written by Hillary Clinton for the magazine

3h ago