আলসেমি কাটানোর ১০ উপায়

অলসতা কাটাতে নিচের ১০টি উপায় থেকে বেছে নিতে পারেন আপনার জন্য সবচেয়ে কার্যকরী পদ্ধতিটি।
ছবি: অর্কিড চাকমা

'অলস ব্যক্তির জীবনে সারা বছরে একটিই দিন, তা হলো আগামীকাল।' কিন্তু এই আগামীকাল কবে হবে, তার নেই কোনো নিশ্চয়তা। তার উপর ছুটি কাটালে বা ঘুরতে গেলে সেই রেশ কাটিয়ে কাজে ফিরতেই ভীষণ আলসেমি লাগে, ফিরলেও মন বসানো দায়।

বয়স, অভ্যাসগত আচরণ, পরিবেশ, সামর্থ্য, ইচ্ছাশক্তি, ব্যক্তিত্ব ইত্যাদি বিভিন্ন কারণেও অলস অনুভূতি ভর করতে পারে শরীরে।

অলসতা কাটাতে নিচের ১০টি উপায় থেকে বেছে নিতে পারেন আপনার জন্য সবচেয়ে কার্যকরী পদ্ধতিটি।

দিন শুরু হোক আনন্দে

সকালের নাশতায় পুষ্টিকর খাবার রাখুন। পর্যাপ্ত পুষ্টিগুণ সম্পন্ন খাবার মন এবং শরীরে প্রভাব ফেলে। আনন্দ থাকলে কাজে মনও বসে, আর অলসতাও সহজে ভর করতে পারে না।

নিজেকে পুরস্কৃত করুন

জটিল কাজ ফেলে রাখা থেকেই আলসেমির সূত্রপাত। যথাসময়ে কাজ শেষ করার জন্য নিজেকে কোনো পুরস্কার দেবেন এই প্রতিজ্ঞা করুন।

পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় দেখা যায়, জিমে ব্যায়াম করার সময় অডিও বুকস শুনতে থাকা ভালো কাজে দেয়। অর্থাৎ সেটিই জিমের সময় নিজেকে দেওয়া তাৎক্ষণিক পুরস্কার।

জটিল, কঠিন কিংবা অলসতা ভেঙে কোনো কাজ শুরু বা শেষ করলে নিজের প্রিয় খাবার খাবেন-এমন কিছু পুরস্কার ঠিক করুন নিজের জন্য।

কাজ নিয়ে ইতিবাচক থাকুন

হেরে যাওয়ার ভয়, কাজ শেষ না হওয়ার আশঙ্কা কাজ থেকে দূরে রাখে, বিরক্তি বাড়িয়ে দেয় এবং অলস করে তোলে। কখনো কখনো কাজটির গুরুত্ব অনুধাবনের ব্যর্থতা থেকেও অলসতা তৈরি হয়। ব্যর্থতার ভয় সরিয়ে ইতিবাচক দিকটিই দেখুন যে, এখান থেকে কিছু শিখবেন বা আনন্দ পাবেন। কাজ শেষে জিতবেন অথবা শিখবেন।

ক্লান্তিকর কাজকে আনন্দদায়ক করুন

সাধারণত যে কাজগুলোকে বিরক্তিকর বা ক্লান্তিকর বলে মনে করা হয় সেগুলো এড়িয়ে চলার প্রবণতা তৈরি হয়। কাজের সময় মিউজিক বা পডকাস্ট শোনার চেষ্টা বা শারীরিক পরিশ্রমের কোনো কাজ হলে সেটি সম্পাদনের সময় কত ক্যালরি কমাতে পারছেন ফিটনেস ট্র্যাকারে তা দেখলেও কাজ কম বিরক্তিকর মনে হবে।

প্রোটিনযুক্ত খাবার খান

কিছু খাবার শরীরের শক্তি বাড়ায়। এতে অলস লাগা এবং আলসেমি হওয়ার আশঙ্কা  কম থাকে। উচ্চ-প্রোটিনযুক্ত খাবার যেমন: গ্রীক দই, কাজুবাদাম,ডিম, টুনা মাছ ইত্যাদি ভালো কাজে দেয় এক্ষেত্রে।

চিনিযুক্ত ও চর্বিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন

যেসব খাবার হজমে বেশি সময় নেয় বা রক্তে শর্করা বাড়ায় সেগুলো এড়িয়ে চলুন। এর মধ্যে রয়েছে উচ্চ চিনিযুক্ত খাবার ও পানীয়, সাদা রুটি ও পাস্তার মতো পরিশোধিত শর্করা, ফাস্টফুড ইত্যাদি।

পর্যাপ্ত ঘুমান ও বিশ্রাম নিন

ঘুমানোর ঠিক আগে স্ক্রিন টাইম এড়িয়ে চলা, দিনে ঘুমের সময় সীমিত করা, সফট মিউজিক বা স্লিপিং মিউজিক শোনা- রাতের ভালো ঘুমের জন্য করতে পারেন এমন অনেক কিছুই। এতে সতেজ বোধ হয় ও আলসেমি কাটে।

ব্যায়াম করুন

ব্যায়াম অলসতা থেকে মুক্তি পাওয়ার একটি নিশ্চিত উপায়। মাত্র কয়েক মিনিটের ব্যায়াম শরীরে শক্তির মাত্রা বাড়াতে পারে, মেজাজ ঠিক করতে পারে, উদ্বেগ ও চাপ কমাতে পারে। দিনে কিছুটা সময় হাঁটতে পারেন বা সাইকেল চালাতে পারেন।

চাপমুক্ত থাকুন

মানসিক চাপে থাকলে ক্লান্ত লাগে। কাজের শক্তি ও উদ্দীপনা ফিরিয়ে আনতে চাপ মোকাবিলার কৌশল খোঁজা জরুরি। প্রিয়জনের সঙ্গে বা পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানো, গাছের পরিচর্যা বা এমন বিশেষ কিছু যা আপনার চাপ কমাতে কার্যকর হবে, তা বেছে নিন।

পানি সঙ্গে রাখুন

পানির অসংখ্য উপকারিতার মাঝে একটি হলো এটি অলসতার বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। অলস বোধ করলে কয়েক চুমুক পানিও আপনাকে সাহায্য করতে পারে।

তথ্যসূত্র: হেলথলাইনডটকম

Comments

The Daily Star  | English

Dhaka getting hotter

Dhaka is now one of the fastest-warming cities in the world, as it has seen a staggering 97 percent rise in the number of days with temperature above 35 degrees Celsius over the last three decades.

52m ago