‘ঘর দুয়োর ভাঙগি গেয়ি, মাছ ন ধরিলি পেডত ভাত ন জুডিবু’

সাগর উত্তাল থাকা সত্ত্বেও মাছ ধরতে যাচ্ছেন শাহ পরীর দ্বীপের জেলেরা। ছবি: স্টার

'ঝড় আঁরারে ফানা গরি দিইয়ি, ধইজ্জে হারাপর পরও এতাল্লাই মাছ ধরিবেল্লাই দরিয়েত যাইরগুর, নইলি ন খাই তাহন পরিবু আঁরাত্তে।'

কক্সবাজারের শাহ পরীর দ্বীপ জেটির পাশে নাফ নদীতে নোঙ্গর করা মাছ ধরার ট্রলারের বসে কথাগুলো বলছিলেন জেলে মোহাম্মদ সাবের।

ঘূর্ণিঝড় মোখায় দ্বীপের জালিয়াপাড়ার বাসিন্দা এই জেলের ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
 
আবহাওয়া খারাপ হওয়া স্বত্বেও কেন সাগরে যাচ্ছেন, জানতে চাইলে তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আঁরা পেট গাউয়ো মানুষ, মাছ ন ধরিলি পেডত ভাত ন জুডিবু, ঘর দুয়োর ভাঙগি গেয়ি, এগিন টিক গড়ন পড়িবু, নইলি বউ পোয়া ঝড়ত ভিজিবু, টিয়ার দুক্কে মাছ দত্তেম যাইর।'

সাবের জেলে হিসেবে কাজ করেন আবদুস সালাম মাঝির নৌকায়। তিনিও দ্বীপের বাসিন্দা।

সালাম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'জেলেরা অভাবী। বেকার থাকলে তাদের না খেয়ে থাকতে হবে, এজন্য সাগর খারাপ থাকা সত্ত্বেও তারা মাছ ধরতে যাচ্ছেন।'

আজ সোমবার সন্ধ্যায় দেখা যায়, নাফ নদীতে মাছ ধরার ট্রলারগুলো চলাচল করছে। এসব ট্রলার নদী হয়ে বঙ্গোপসাগরে চলে যাবে।

জেলেরা জানিয়েছেন, বেশিরভাগ ট্রলার রাতে নাফ নদীর মোহনায় গিয়ে অবস্থান করবে। ভোরে মাছ ধরার জন্য বঙ্গোপসাগরে চলে যাবে।

আরেক জেলে মো. ইউসুফ ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমাদের কোনো সঞ্চয় নেই। মোখার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। কীভাবে ক্ষতি কাটিয়ে উঠব জানি না। কিছু ইনকামের আশায় বাধ্য হয়ে উত্তাল সাগরে মাছ ধরতে যাচ্ছি।'

Comments

The Daily Star  | English

No justifiable reason to delay nat'l polls beyond Dec: Salahuddin

We have been able to make it clear that there is not even a single mentionable reason to hold the election after December, says the BNP leader

7h ago