আমেরিকা থেকে সম্পূর্ণ প্রত্যাখ্যাত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী: খন্দকার মোশাররফ

শুক্রবার বন্দরনগরী চট্টগ্রামে বিএনপির জনসমাবেশে বক্তব্য দিচ্ছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, কিছুদিন আগে শেখ হাসিনা জাপানে গিয়েছিলো, যাওয়ার আগে অনেক কথা বলে গিয়েছিল। কিন্তু জাপান থেকে কিছু আনতে পারেনি।

'তারপর আমেরিকা গিয়েছিল। সেখানে সরকারি দপ্তরের একজন পিওনের সঙ্গেও প্রধানমন্ত্রী দেখা করতে পারেনি। এই প্রধানমন্ত্রীকে আমেরিকা সরকার থেকে কেউ ওয়েলকাম করতে আসেনি। আমেরিকা থেকে সম্পূর্ণ প্রত্যাখ্যাত হয়েছেন,' বলেন তিনি।

আজ শুক্রবার বিকেলে বন্দরনগরী চট্টগ্রামের কাজীর দেউরীতে নাসিমন ভবনে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে জনসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে খন্দকার মোশাররফ এসব কথা বলেন।

দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও ১০ দফা দাবিতে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপি এ সমাবেশের আয়োজন করে।

মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে ও সদস্যসচিব আবুল হাশেম বক্করের পরিচালনায় সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দীন। 

সমাবেশে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, 'যারা টাকা পাচারে জড়িত তাদের নাম সরকার মুখে আনছে না। কারণ তাদের লোকই এই টাকাগুলো পাচার করছে। এভাবে সরকার দেশের অর্থনীতিকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দিয়েছে। আজ গরীব মানুষ দুবেলা খেতে পারে না, মধ্যবিত্ত মানুষ গরীব হয়ে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগের পক্ষে এই অর্থনীতি ঠিক করা সম্ভব নয়।'

তিনি বলেন, 'জনগণ বিশ্বাস করে আওয়ামী লীগ বড় বড় মেগা প্রজেক্ট করে মেগা দুর্নীতি করেছে। দেশের টাকা পাচার করে সুইস ব্যাংকে জমা রেখেছে। কানাডা, আমেরিকায় বাড়ি করেছে। মালয়েশিয়ায় থাকার ঘর করেছে। এসব আমাদের কথা নয়। বাংলাদেশ ব্যাংক এসব কথা বলেছে।'

বিএনপির এই সিনিয়র নেতা আরও বলেন, 'এই সরকার যেখানে বিচার বিভাগকে দলীয়করণ করে ধ্বংস করে দিয়েছে, সেখানে আর তারা বিচার বিভাগকে স্বাধীন করতে পারবে না। এই সরকার আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দিয়েছে। সেটা আর পুনরুদ্ধার করতে পারবে না। তাই এ দেশের জনগণ এই অবৈধ ও স্বৈরাচারী সরকারকে প্রত্যাখ্যান করেছে। শুধু এই দেশের জনগণ নয় সারা বিশ্বের মানুষ আজ শেখ হাসিনাকে প্রত্যাখ্যান করেছে।'

Comments

The Daily Star  | English

Pathways to the downfall of a regime

The erosion in the credibility of the Sheikh Hasina regime did not begin in July 2024.

9h ago