গা বাঁচিয়ে খেলা আমার পক্ষে সম্ভব নয়: তাসকিন

Taskin Ahmed
মিরপুরে অনুশীলনে তাসকিন আহমেদ। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

মাত্রই একটা চোট থেকে সেরে উঠেছেন তাসকিন আহমেদ। এই চোটের কারণেই ২০১৯ বিশ্বকাপ খেলতে না পেরে কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। এবারও  বিশ্বকাপের বছর হওয়ায় তার ফিটনেস নিয়ে বেশ সতর্ক বিসিবি। তবে খেলতে নামলে অতো কিছু ভাবার সময় থাকবে না বলে জানালেন তাসকিনই।

গত মার্চে আয়ারল্যান্ডেরর বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের সময় শরীরের বাম পাশের চোটে পড়েন তাসকিন। ওই চোটেই খেলতে পারেননি আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে। ইংল্যান্ডে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজেও তাকে পাঠায়নি বিসিবি। পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিয়ে সেরে উঠা তাসকিন পুনর্বাসনের সব ধাপ পেরিয়ে শুরু করেছেন পুরোদমে বোলিং।

মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নিজেকে ঝালাই করে নিচ্ছেন তিনি। মঙ্গলবার অনুশীলনের পর হাজির হয়েছিলেন গণমাধ্যমের সামনে। জানালেন চোটের বাইরে থাকা যন্ত্রণার দিনগুলো তাকে আরও বেশি ভালো করার তাগিদ দিয়েছে,   'ইনজুরির কারণে দলের বাইরে থাকার স্বাদটা কখনোই আনন্দদায়ক নয়। ক্রিকেটার হিসেবে খারাপ লাগে। ২০১৯ বিশ্বকাপে যখন বাদ পড়েছিলাম, ওই মুহূর্তটা খুব দুঃখজনক ছিল। তবে এখন বুঝতে পারি, আল্লাহ্‌ যা করেন ভালোর জন্যই করেন। তারপর নিজের ওয়ার্ক এথিকস, প্রক্রিয়া কিছুটা বদল হয়েছে। যা আমার জন্য ক্রিকেটার হিসেবে খুব গুরুত্বপূর্ণ। এখন আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো প্রক্রিয়ায় আছি। এটাই একটা আত্মবিশ্বাস থাকে যে, আমি নিজের শতভাগ দিচ্ছি প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে। তাই ভালো কিছু হবে আশা করছি।'

বিশ্বকাপের আছে এখনো চার মাসের বেশি। বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশেরও অনেকগুলো ম্যাচ বাকি। খেলতে নামলে ম্যাচের তীব্রতায় আবারও বিপদ ঘটতে পারে। তবে সে কথা ভেবে নিজেকে গুঁটিয়ে রাখার পক্ষে নন গতিময় পেসার,  'গা বাঁচিয়ে খেলা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। বল হাতে নিয়ে খেলতে নামলে এটা মাথায় থাকেই না যে কীভাবে সেইফলি খেলা যায়। আরও তো আমি ফাস্ট বোলার। লাল-সবুজের হয়ে খেলাটা অনেক গর্বের একটা ব্যাপার। শুধু এটা না, ক্রিকেটটাই আসলে। তো যখন খেলতে নামি, মাথায় এটা থাকে না যে সামনে বড় ইভেন্ট আছে না কী আছে। আল্লাহ্‌ যাতে সুস্থ রাখেন, এটাই সবসময় দোয়া করি।'

চোট কাটিয়ে প্রতিদিনই ছন্দে ফেরার লড়াইয়ে আছেন তাসকিন। বড় মঞ্চের আগে নিজেকে সেরা অবস্থায় নিতে বিস্তর খাটছেন। আপাতত সবকিছুই এগুচ্ছে সুন্দরভাবে, 'চারটা সেশন করলাম। ক্রমান্বয়ে বাড়ছে ওয়ার্কলোড। ফিটনেস সেশন, বোলিং সেশন ভালো যাচ্ছে। সামনে ওয়ার্কলোডের ইন্টেনসিটি আরও বাড়তে থাকবে। এভাবে যেতে থাকলেই সব ভালো থাকবে।' 

শোনা যাচ্ছে ফিটনেসের কথা চিন্তা করে আফগানিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে বাইরে রাখা হবে তাসকিন। আপাতত তিনি খেলবেন কেবল সাদা বলের ক্রিকেট। এসব আলোচনা চললেও তাসকিন সব সংস্করণে খেলতে নিজের ইচ্ছেটা জানিয়ে রাখলেন, 'আমার নিজের তো ইচ্ছা ৩৬৫ দিনই বোলিং করতে। কিন্তু শরীর তো পারে না। তো বোর্ড সিদ্ধান্ত নেবে। আপনারা দোয়া কইরেন যেন সুস্থ থাকি।'

Comments

The Daily Star  | English

Rohingya influx: 8 years on, repatriation still elusive

Since the repatriation deal was signed with Myanmar in November 2017, Bangladesh tried but failed to send Rohingyas back.

8h ago