যমুনা নদী ছোট করার প্রস্তাবের সব নথি তলব হাইকোর্টের
যমুনা নদী সংকুচিত করার প্রস্তাবের সঙ্গে কারা জড়িত তা জানতে ওই প্রস্তাব সংশ্লিষ্ট সব নথি চেয়েছেন হাইকোর্ট।
রোববার একটি রিট আবেদনের শুনানিকালে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব উল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ডকে ১০ দিনের মধ্যে হাইকোর্টে এসব নথি জমা দেওয়ার আদেশ দেওয়া হয়েছে।
গত ১১ মার্চ দৈনিক কালবেলায় 'যমুনা নদী ছোট করার চিন্তা' শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের ভিত্তিতে মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ এ রিট আবেদন করেছিল।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড যমুনা নদীর প্রস্থ ১৫ কিলোমিটার থেকে কমিয়ে ৬ দশমিক ৫ কিলোমিটার করার প্রকল্প হাতে নিয়েছে।
রিট আবেদনে যমুনা নদী সংকীর্ণ করার প্রস্তাব তৈরির সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টের নির্দেশ চাওয়া হয়।
রিট আবেদনকারীর আইনজীবী মনজিল মোরসেদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'হাইকোর্ট গত ২১ মে ওই প্রস্তাবের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের তালিকা জমা দিতে বললেও সরকার তাদের নাম প্রকাশ করেনি।'
'প্রকল্পের নথিপত্র পরীক্ষা করে আদালত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নাম জানতে পারবে,' বলেন তিনি।
আদালত আগামী ১১ জুন পর্যন্ত রিট আবেদনের শুনানি মুলতবি করেছেন বলেও জানান এই আইনজীবী।
রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আবুল কালাম খান দাউদ।
Comments