পাউবোর ১ কোটি টাকার প্রকল্প পানিতে বিলীন

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কাছিপাড়া ইউনিয়নের কারখানা নদীর ভাঙনরোধে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলার এক মাস যেতে না যেতেই তা নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে।
কারখানা নদী
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কাছিপাড়া ইউনিয়নের কারখানা নদীর ভাঙনরোধে বালুভর্তি জিও ব্যাগ নদীতে বিলীন হচ্ছে। ছবি: স্টার

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কাছিপাড়া ইউনিয়নের কারখানা নদীর ভাঙনরোধে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলার এক মাস যেতে না যেতেই তা নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, অপরিকল্পিতভাবে জিও ব্যাগ ফেলায় এর উদ্দেশ্য ভেস্তে যেতে বসেছে।

প্রায় এক কোটি টাকা খরচে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তত্ত্বাবধানে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হয়।

স্থানীয়রা দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, বাউফল উপজেলার কাছিপাড়া ইউনিয়নের কারখানা নদীর ভাঙন থেকে বাহেরচর বাজার ও চর রঘুনদ্দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত ৩০০ মিটারের মধ্যে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হয়।

কারখানা নদী
কারখানা নদীর ভাঙনরোধে বালুভর্তি জিও ব্যাগ নদীতে বিলীন হচ্ছে। ছবি: স্টার

পটুয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধানে গত সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হয়। এর জন্য ব্যয় ধরা হয় ৯৫ লাখ টাকা। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স লুৎফর রহমান কাজটি বাস্তবায়ন করেন।

মাস যেতে না যেতেই ওই বালুভর্তি জিও ব্যাগগুলো নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এতে ভাঙনরোধের এ উদ্যোগ ভেস্তে যেতে বসেছে।

ভাঙন কবলিত ওই এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, অধিকাংশ জিও ব্যাগ নদীতে চলে যাওয়ায় ওই জায়গাটুকু ফের ভাঙনে পড়েছে। কিছু কিছু জিও ব্যাগ থেকে বালু বেরিয়ে যাচ্ছে।

ঢেউয়ের তোড়ে বাকি ব্যাগগুলোও নদীতে বিলীন হওয়ার উপক্রম।

স্থানীয় বাসিন্দা সাইদুল ডেইলি স্টারকে বলেন, 'জিও ব্যাগে ভালোভাবে বালু ভর্তি করা হয়নি। প্রতিটি জিও ব্যাগে ১৫০ কেজি করে বালু ভর্তি করা কথা থাকলেও করা হয়েছে সর্বোচ্চ ১২০ কেজি। তাও আবার কাদাবালু। পানির ঢেউয়ে কাদা ধুয়ে গিয়ে ব্যাগ ঢিলে হয়ে যাচ্ছে। এলাকার লোকজন শুরু থেকেই বাধা দিলেও ঠিকাদারের লোকজন তা শুনেননি।

'ওই এলাকায় কয়েক শ পরিবার, একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও পাকা বাঁধ-সড়ক হুমকিতে আছে,' যোগ করেন তিনি।

ঠিকাদার লুৎফর রহমান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'নিয়ম মেনেই ভাঙন এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে। পরিমাণ মতো বালু দেওয়া হয়েছে।'

পটুয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফ হোসেন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এটি অস্থায়ী ব্যবস্থা। কারখানা নদীর ভাঙনের কবল থেকে বাজার, স্কুল ও জনপথ রক্ষায় জরুরিভিত্তিতে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হয়েছে।'

তিনি আরও বলেন, 'পরবর্তীতে কংক্রিটের ব্লক ফেলে স্থানটিকে ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা করতে স্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

Comments