‘আর্থিক ও রাজস্ব নীতির যথাযথ সমন্বয় প্রয়োজন’

সামির সাত্তার, বাজেট, বাজেট ২০২৩-২০২৪, জিডিপি, কর, ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি,
মো. সামির সাত্তার। ছবি: সংগৃহীত

অর্থনীতির বর্তমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আর্থিক নীতি ও রাজস্ব নীতির মধ্যে যথাযথ সমন্বয় থাকা উচিত বলে মনে করেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি মো. সামির সাত্তার।

এই ব্যবসায়ী নেতা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, করের আওতা বাড়াতে হবে। ঢাকা ও চট্টগ্রামের বাইরেও যাদের করযোগ্য আয় আছে তাদের চিহ্নিত করবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

সারা দেশে কর অফিস স্থাপনে এনবিআরের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, 'এসব অফিসে দক্ষ কর্মকর্তাদের নিয়োগ দেওয়া উচিত।'

সামির সাত্তার উল্লেখ করেন, দেশের কর ও জিডিপির অনুপাত বাড়ানোর জন্য কর প্রশাসন এবং এর প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় করা উচিত।

করমুক্ত আয়ের সীমা বর্তমান ৩ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫ লাখ টাকা করার সুপারিশও করেন তিনি।

আমদানির বিকল্প আছে এমন শিল্প এগিয়ে নেওয়ার দিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত জানিয়ে তিনি বলেন, 'এর ফলে উৎপাদনকারীরা স্থানীয়ভাবে উত্পাদন করতে পারবেন। এসব শিল্প বাংলাদেশকে আমদানি করা জিনিসের চাহিদা কমাতে ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়াতে সাহায্য করতে পারে।'

করপোরেট করের হার কমানোর আহ্বান জানিয়ে সামির সাত্তার বলেন, 'এনবিআর নামমাত্র করপোরেট করের হার কমাচ্ছে। তবে, কার্যকর করের হার কমানোর উদ্যোগ নেওয়া উচিত। একইসঙ্গে শর্তগুলোও এমন হওয়া উচিত, যেন যেকোনো করপোরেট কর অবকাশের সুবিধা পেতে পারে ব্যবসাগুলো।'

জরুরি ও নিত্যপণ্য এবং কারখানার জন্য কাঁচামাল ও যন্ত্রপাতি আমদানি করতে ঋণপত্র খুলতে সহায়তার জন্য মার্কিন ডলারের আলাদা ফান্ড তৈরির গুরুত্বের কথাও বলেন তিনি।

সামির সাত্তার জানান, আমদানি করা নিত্যপণ্যের ওপর সরকারের শুল্ক প্রত্যাহার বা মওকুফ করা উচিত। এতে স্থানীয় বাজারে এসব পণ্যের দাম কম থাকবে।

'একটি বাজার মনিটরিং সেল থাকা উচিত। তারা নিত্যপণ্য যথার্থ দামে বিক্রি, মজুদ রোধ এবং সরবরাহ চেইন স্বাভাবিক রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করবে,' যোগ করেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English
Unhealthy election controversy must be resolved

Unhealthy election controversy must be resolved

Just as the fundamental reforms are necessary for the country, so is an elected government.

11h ago