ইউক্রেনে হামলা চালাতে রাশিয়ায় শত শত ইরানি ড্রোন: হোয়াইট হাউস

ইরানি ড্রোন
ইউক্রেনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় খারকিভ শহরে এক পুলিশ কর্মকর্তা ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ পরীক্ষা করছেন। ধারণা করা হয় এটি ইরানে তৈরি। ছবি: রয়টার্স ফাইল ফটো

ইউক্রেনে হামলা চালাতে রাশিয়া প্রতিবেশী ইরানের কাছ থেকে শত শত ড্রোন নিয়েছে বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।

এছাড়াও, ধারণা করা হচ্ছে তেহরানের সঙ্গে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা জোরদার করছে মস্কো।

গতকাল শুক্রবার বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।

সদ্য প্রকাশিত তথ্যের বরাত দিয়ে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, হোয়াইট হাউস মনে করে যে ইউক্রেনে হামলা চালাতে ব্যবহৃত ড্রোনগুলো ইরানে তৈরি। সেগুলো কাসপিয়ান সাগর হয়ে রাশিয়ায় পৌঁছেছে। পরে ইউক্রেনে হামলার জন্য সেগুলো রুশ সেনাদের হাতে দেওয়া হয়।

হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জন কিরবি এক বার্তায় বলেন, 'সাম্প্রতিক সময়ে কিয়েভে হামলার জন্য ইরানি ড্রোন ব্যবহার করছে রাশিয়া। তারা ইউক্রেনের জনগণের মনে ভয় জাগানোর চেষ্টা করছে। ধারণা করা হচ্ছে রাশিয়া-ইরান সামরিক সহযোগিতা আরও দৃঢ় হচ্ছে।'

'আমরা উদ্বিগ্ন যে ইরানের সহায়তায় রাশিয়ায় ড্রোন তৈরির প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে,' যোগ করেন তিনি।

হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জানান, যুক্তরাষ্ট্রের কাছে তথ্য আছে যে, রাশিয়া ড্রোন তৈরির সরঞ্জাম ইরান থেকে নিচ্ছে। আগামী বছরের শুরুতে পুরোদমে ড্রোন তৈরি শুরু হতে পারে।

'আমরা রাশিয়ার আলাবুগা বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে ড্রোন তৈরির কারখানার স্যাটেলাইট ইমেজ প্রকাশ করেছি।'

রাশিয়াকে ড্রোন সরবরাহের জন্য ইরানের কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। রাশিয়ায় ড্রোন পাঠানোর কথা ইরান প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে জানায় ড্রোনগুলো ইউক্রেন যুদ্ধের আগে পাঠানো হয়েছিল।

ইউক্রেনে হামলার জন্য ইরানি ড্রোন ব্যবহারের বিষয়টি মস্কো অস্বীকার করেছে।

হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা বলেন, গত আগস্ট থেকে ইরান কয়েক শ ড্রোন রাশিয়ায় পাঠিয়েছে।

জন কিরবি জানান, ইরান ড্রোনের বিনিময়ে রাশিয়া থেকে কয়েক বিলিয়ন ডলার মূল্যের সামরিক সরঞ্জাম নিচ্ছে। এর মধ্যে হেলিকপ্টার ও রাডারও আছে।

তিনি আরও বলেন, 'রাশিয়া ইরানকে অভূতপূর্ব প্রতিরক্ষা সহযোগিতার প্রস্তাব দিচ্ছে। এর মধ্যে ক্ষেপণাস্ত্র, ইলেক্ট্রনিক্স ও আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও আছে।'

Comments

The Daily Star  | English

Child rape cases rise nearly 75% in 7 months

Shows ASK data; experts call for stronger laws, protection

1h ago