যারা গুমের কথা বলছেন তারা সহযোগিতা করছেন না: আইনমন্ত্রী

যারা গুমের কথা বলছেন তারা সহযোগিতা করছেন না বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
আজ রোববার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত মিট দ্য রিপোর্টার্স অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
ল' রিপোর্টার্স ফোরাম (এলআরএফ) এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
বিএনপির পক্ষ থেকে কিরা রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলার প্রসঙ্গে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, 'ওনারা (বিএনপি) যে রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলার কথা বলছেন, আমার মনে হয়, "হয়রানিমূলক" কথাটাকে দূর করতে হবে। তার কারণ, তারা অপরাধ করেছে বলেই তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। যিনি এজাহার দেন, তিনি যদি সেখানে, আমি জানি না, উনি যদি কাউকে অভিযুক্ত করে থাকেন; সেই অপরাধীদের মধ্যে যিনি মৃত, অবশ্যই যখন অভিযোগপত্র দেওয়া হবে প্রাথমিক তথ্য বিবরণী থেকে বাদ পড়ে যাবে। এগুলো বিষয় নয়। আমি পরিষ্কারভাবে একটি কথা বলতে চাই, মামলাগুলো কিন্তু হয়রানিমূলক না। অপরাধ করার কারণেই মামলা করা হয়েছে।'
'২০০১ সালের যে তাণ্ডব, বিএনপি যে তাণ্ডব করেছিল, আওয়ামী লীগের কর্মী, নেতাদের ওপর যেভাবে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল এবং বলতে আমার ক্ষতি নেই, সাতক্ষীরায় যেভাবে মাইনরিটিদের ওপর ইয়ে করেছিল, সেসব হচ্ছে অপরাধ এবং সেই অপরাধের কারণে মামলা হয়েছে। মামলা তো অপরাধ ছাড়া হয়নি! কোনো হয়রানিমূলক মামলা হয়নি যে, মিটিং করতে গেছে সে জন্য মামলা করে দেওয়া হয়েছে; নো। অপরাধ করার পরেই মামলা হয়েছে,' বলেন আইনমন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, 'আমি সেই জন্য বলি যে, হয়রানিমূলক মামলা সেটা হয়তো করা হবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ; সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যাপারে আমাদের অবস্থান যে পরিষ্কার সেটা কিন্তু আমরা প্রমাণ করেছি। ৫০ বছরে এই উপমহাদেশে এই আইন নেই যে, নির্বাচন কমিশন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ দেওয়ার জন্য যেটা ১১৮ অনুচ্ছেদে আমাদের সংবিধানে বলা হয়েছে আইন করতে হবে, আমরা কিন্তু সেই আইনটি আমরা করে দিয়েছি। সেই আইনের ওপর ভিত্তি করেই নতুন এই নির্বাচন কমিশন গঠন হয়েছে।'
'এই নির্বাচন কমিশন স্বাধীন। এরা যেদিন থেকে নির্বাচনী তফশিল ঘোষণা করবে সেদিন থেকে প্রশাসন তাদের অধীনে থাকবে, তারা যেভাবে বলবে সেভাবে হবে। সুষ্ঠু-অবাধ নির্বাচনের জন্য এটাই সব সময় সব দেশে যেখানে গণতন্ত্র চর্চা হয়, এটাই করা হয়,' বলেন তিনি।
ডিজঅ্যাপিয়ারেন্স যে লোকগুলো আছে বলে অভিযোগ করা হচ্ছে—গণমাধ্যমকর্মী এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে আইনমন্ত্রী বলেন, 'যখন আমাদের কাছে তালিকা এসেছে আমরা বলেছি যে, আমরা দেখি যারা এই অভিযোগ করেছে তাদের সঙ্গে আমরা কথা বলি। আমরা কথা বলতে গেলাম, পুলিশ পাঠালাম, তখন খবরের কাগজে দেওয়া শুরু হলো তাদের হয়রানি করা হচ্ছে। আমরা বললাম, ঠিক আছে, আমরা পুলিশ পাঠাব না। আপনারা আপনাদের অভিযোগ পুলিশের কাছে লিখিতভাবে জানান, আর কিছু করতে হবে না। আমরা তদন্ত করব। এখন পর্যন্ত আমার তথ্য যতটুকু, এটাতে কেউ সাড়া দেয়নি। আমি কীভাবে বলবো তাদের ডিজঅ্যাপিয়ারেন্সের ব্যাপারে!'
'এই ডিজঅ্যাপিয়ারেন্সের ব্যাপারে আমরা সব তদন্ত করার চেষ্টা করছি। আমাদের যে আইনি প্রক্রিয়ায় যাওয়া উচিত সেটা যাওয়ার চেষ্টা করছি। যারা এই ডিজঅ্যাপিয়ারেন্সের কথা বলছেন তারা সহযোগিতা করছেন না। আমরা দেখেছি, কিছু কিছু ডিজঅ্যাপিয়ারেন্সের ব্যাপারে দেখা গেছে যে, যার কথা বলা হচ্ছে ডিজঅ্যাপিয়ার—তিনি বাসায় আছেন,' বলেন তিনি।
Comments