‘ঢাকা সিটিতে থাকছে না নির্দিষ্ট জায়গা, পরিবেশ নষ্ট করে কোরবানি করা যাবে না’

তাজুল ইসলাম
বক্তব্য রাখছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম | ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা মহানগর এলাকায় এমন কোথাও কোরবানি করা যাবে না যেখানে পরিবেশ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে সতর্ক করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

আসন্ন ঈদুল আজহায় নির্দিষ্ট স্থানে পশু কোরবানি ও বর্জ্য অপসারণ প্রসঙ্গে আজ বুধবার সচিবালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

ঢাকা মহানগর এলাকায় সিটি করপোরেশনের নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানির সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, 'বাংলাদেশে আমরা ১৭ কোটি মানুষ বসবাস করি। এর মধ্যে ৯০ শতাংশ মুসলমান। প্রাপ্ত বয়স্ক সবাই যদি কোরবানি দেয় তাহলে অনেক পশু কোরবানি হয়। একেবারে ছক করে দেওয়া সম্ভব না। ধর্মীয় বিষয় আছে আর স্লটার হাউস (পশু জবাইখানা) যত বড় করেন না কেন, এর সক্ষমতা; আমাদের ঢাকা শহরে যদি ২ কোটি মানুষ বসবাস করে, এর মধ্যে যদি ৫০ লাখ মানুষ যদি কোরবানি দেয় তাহলে এটা বাস্তবসম্মত না।'

এবার সিটি করপোরেশনের নির্দিষ্ট জায়গায় থাকছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'একেবারে নির্দিষ্টকরণ নেই। তবে এমন কোথাও কোরবানি করা যাবে না যেখানে পরিবেশ নষ্ট হবে।'

ঢাকা মহানগরী এলাকায় রাস্তার ওপর কোরবানির পশুর হাট ও যানজট প্রসঙ্গে তাজুল ইসলাম বলেন, 'যে কোনো উৎসবে সারা পৃথিবীতে, শুধু বাংলাদেশে না; চীনে সমস্ত ইনফ্রাস্টাকচালার ফ্যাসিলিটি তারা কিন্তু এক্সট্রিমলি এনশিওর করে। নিউ ইয়ারের সময় দেখা গেছে যেটা ৮ ঘণ্টায় যাওয়া যেত সেটা ৩ দিনে গেছে। সব জায়গায় উৎসবের একটু সমস্যা হয়।'

ঢাকার ২ সিটি করপোরেশন এলাকায় কতগুলো পশুর হাট বসবে সেটা পরবর্তীতে জানানো হবে, বলেন তাজুল ইসলাম।

হাটের সংখ্যা বাড়ছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'এবার যেহেতু কোভিডের কোনো সমস্যা নেই। আমরা কোভিডমুক্ত পরিবেশে এবার প্রথম ঈদ উদযাপন করতে যাচ্ছি। হাট-বাজার উদযাপনপূর্ণ হবে।'

Comments

The Daily Star  | English
government decision to abolish DSA

A law that gagged

Some made a differing comment, some drew a political cartoon and some made a joke online – and they all ended up in jail, in some cases for months. This is how the Digital Security Act (DSA) and later the Cyber Security Act (CSA) were used to gag freedom of expression and freedom of the press.

13h ago