বিশ্বের অর্ধেকের বেশি শরণার্থী সিরিয়া, আফগানিস্তান ও ইউক্রেনের নাগরিক: জাতিসংঘ

সুদান থেকে আসা এক শরণার্থী ত্রাণ হিসেবে খাবার পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন। ছবি: রয়টার্স
সুদান থেকে আসা এক শরণার্থী ত্রাণ হিসেবে খাবার পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন। ছবি: রয়টার্স

বাধ্য হয়ে নিজের বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয়েছেন, এরকম মানুষের সংখ্যার নতুন রেকর্ডের সৃষ্টি হয়েছে। জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) প্রধান ফিলিপ্পো গ্রান্দি জানিয়েছেন, ইউক্রেন ও সুদানের সংঘাতের কারণে লাখো মানুষ বাস্তুচ্যুত হচ্ছেন, যার ফলে ঘর হারানো মানুষের সংখ্যা বেড়ে ১১ কোটি হয়েছে।

আজ বুধবার বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

ইউএনএইচসিআরের হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্রান্দি বাস্তুচ্যুত হওয়ার কারণ হিসেবে সংঘাত, নির্যাতন, সহিংসতা, বৈষম্য ও জলবায়ু পরিবর্তনের কথা উল্লেখ করেন। তিনি জানান, শরণার্থী ও আন্তর্জাতিক সুরক্ষা প্রয়োজন এরকম মানুষের অর্ধেকেরও বেশি ৩টি দেশের নাগরিক—সিরিয়া, ইউক্রেন ও আফগানিস্তান।

বুধবার প্রকাশিত ইউএনএইচসিআরের এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, গত বছরের শেষে এই সংখ্যা ছিল ১০ কোটি ৮৪ লাখ, যা এর আগের বছরের তুলনায় ১ কোটি ৯০ লাখ বেশি। সেখান থেকে ২০২৩ এ এসে সংখ্যাটি বেড়ে ১১ কোটি হয়েছে।

প্রতিবেদনে আরও জানা গেছে, ২০১১ সালে সিরিয়ায় সংঘাত দেখা দেওয়ার আগের ২ দশক বাস্তুচ্যুত মানুষ ও শরণার্থীর সংখ্যা ৪ কোটির আশেপাশে স্থিতিশীল ছিল। এরপর থেকেই প্রতি বছর এই সংখ্যা বাড়ছে।

প্রতিবেদন মতে, বর্তমানে বিশ্বের প্রতি ৭৪ জন মানুষের মধ্যে ১ জনের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত অবস্থায় আছেন।

গ্রান্দি কিছু দেশের কঠোর শরণার্থী আইন ও প্রত্যাবাসন নীতিমালা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তবে তিনি কোনো দেশের নাম উল্লেখ করেননি।

 

Comments

The Daily Star  | English

Central bank at odds with BPO over Nagad’s future

The discord became apparent after Faiz Ahmed Taiyeb, special assistant to the chief adviser with authority over the Ministry of Posts, Telecommunications and IT, sent a letter to the BB governor on May 12 and posted the letter to his Facebook account recently

1h ago