অবশেষে স্কুল মাঠ থেকে সরানো হচ্ছে ফার্নিচার মেলা

গোবিন্দগঞ্জের বিরাট দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ থেকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে ফার্নিচার মেলার সরঞ্জাম। ছবি: সংগৃহীত

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ অমান্য করে স্কুল মাঠে মাসব্যাপী ফার্নিচার মেলার আয়োজন করা হয়েছিল গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বিরাট দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে। অবশেষে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে আজ স্কুল মাঠ থেকে সরানো হচ্ছে মেলা।

গত বছরও স্থানীয় প্রশাসন এই স্কুলের মাঠে মেলা বন্ধ করে দিয়েছিল। এর পরও নির্দেশনা অমান্য করে এই মাসের শুরু থেকে স্কুল মাঠ ভাড়া দিয়ে বসানো হয় মাসব্যাপী ফার্নিচার মেলা।

কেন স্কুল মাঠে মেলা আয়োজন করা হয়েছে জানতে গাইবান্ধা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা গত ২৮ মে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. রোকনুজ্জামানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন। সাত দিনের মধ্যে উত্তর চাওয়া হলেও নোটিশের জবাব দেননি তিনি।

এই বিষয়ে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফ হোসেন বলেন, 'স্কুলের মাঠে মেলা বসানোর সুযোগ নেই। আমরা নির্দেশ দিয়েছি যাতে ভবিষ্যতেও এখানে মেলা বসানো হয়।'

জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক অলিউর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'স্কুল মাঠে মেলা অপসারণের জন্য আমরা আগেও বলেছিলাম কিন্তু কর্তৃপক্ষ শোনেনি। গতকালের মধ্যেই মেলা সরানোর কথা ছিল। আজ ইউএনওকে শক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়। ব্যবস্থাপনা কমিটির সঙ্গে কথা বলে মেলা অপসারণ করা হচ্ছে।'

২০০৯ সালের ডিসেম্বর মাসে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক পরিপত্রে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঠে মেলা, যাত্রা বা সার্কাসের মতো বাণিজ্যিক অনুষ্ঠান নিষিদ্ধ করা হয়।

পরিপত্রে বলা হয়, 'লক্ষ করা যাচ্ছে কোনো কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঠে বিভিন্ন প্রদর্শনীর নামে মেলা, যাত্রা ও সার্কাস ইত্যাদি বাণিজ্যিক-বিনোদনমূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে। এতে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের পাঠদান এবং শিক্ষার পরিবেশ ব্যাহত হচ্ছে। এই অবস্থায়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে যে, কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঠে এ ধরনের আয়োজন করা যাবে না।'

স্কুলটির সাবেক শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকরা জানান, স্কুলের মাঠে মেলা বসালে শিক্ষার্থীরা খেলতে পারেন না। বাইরে থেকে আসা অনেক মানুষের সমাগম হওয়ায় শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হয়।

 

Comments

The Daily Star  | English

No justifiable reason to delay nat'l polls beyond Dec: Salahuddin

We have been able to make it clear that there is not even a single mentionable reason to hold the election after December, says the BNP leader

2h ago