অনিয়মের সংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিককে মারধরের অভিযোগ

হত্যা
প্রতীকী ছবি

রাস্তা সংস্কারে অনিয়ম সম্পর্কে খবর প্রকাশ করায় গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার দৈনিক সমকালের প্রতিনিধি এনামুল হককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে উপজেলার এক ঠিকাদারের বিরুদ্ধে।

আজ রোববার বেলা ১১টায় উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয়ের সামনে এই ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় গোবিন্দগঞ্জ থানায় স্থানীয় ঠিকাদার মোস্তাফিজুর রহমান আঙ্গুর ও তার সঙ্গে থাকা আজাদুল ইসলামসহ অজ্ঞাত ২-৩ জনের নামে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন সাংবাদিক এনামুল হক।

তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আজ সকাল ১১টায় পেশাগত কাজে উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয়ে গেলে ঠিকাদার মোস্তাফিজুর রহমান আঙুরের সঙ্গে দেখা হয়। রাস্তা সংস্কারের ওপর কেন খবর প্রকাশ করেছি এ নিয়ে তিনি আমাকে জিজ্ঞাসা করতে থাকেন। এক পর্যায়ে তিনি এবং তার সঙ্গে থাকা আজাদুলসহ আরও ২-৪ জন আমাকে কিলঘুষি দিতে থাকে। এ সময় আমার হাতে থাকা স্মার্ট ফোনটিও তারা ভেঙে ফেলেন। পরে অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয়রা আমাকে হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়।'

'প্রায় ৬ মাস আগে গোবিন্দগঞ্জ পৌর এলাকা থেকে কালিকাডোবা হয়ে পারগয়ড়া পর্যন্ত প্রায় ২ কোটি ৩০ লাখ টাকার ব্যয়ে (২ হাজার ৯৮৬ মিটার) রাস্তা সংস্কারের কাজ করা হয়। গোবিন্দগঞ্জ খন্দকার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজটি বাস্তবায়ন করে কিন্তু এটি নিম্নমানের হওয়ার কারণে আমি ওই ঠিকাদারের সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলে স্থানীয় পত্রিকায় নিউজ করি। এরপরে এ বিষয়ে একটি জাতীয় পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হয়। সেই নিউজের জেরে আজ তারা আমাকে মারধর করেন,' বলেন তিনি।

জানতে চাইলে অভিযুক্ত ঠিকাদার মোস্তাফিজুর রহমান আঙুর দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'রাস্তা সংস্কারের কাজটি আমি অনেক বেশি দামে নিলামে পাই। এরপরে সবকিছুর দাম বেড়ে গেলেও কাজ ঠিকভাবে হচ্ছিল কিন্তু সাংবাদিক এনামুল এই বিষয়ে পত্রিকায় খবর প্রকাশ করে এবং সেই খবরের কপি দুদকে দিলে আমার রাস্তা সংস্কারের প্রায় ৯১ লাখ টাকা আটকে যায়। আজ তার সঙ্গে দেখা হলে আমি এ বিষয়ে তাকে জিজ্ঞেস করতেই তিনি খেপে যান। এক পর্যায়ে আমাকে দেখা নেওয়ার হুমকি দিলে আমার আশেপাশের লোকজন তাকে কিছু চর -থাপ্পড় মেরেছে। তবে আমি তাকে মারধর করি নি।'

থানায় অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইজার উদ্দিন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সাংবাদিক এনামুল হক একটি মারধরের অভিযোগ করেছেন। আমি সেসময় থানায় ছিলাম না। বিষয়টি প্রাথমিকভাবে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

 

Comments

The Daily Star  | English

What are we building after dismantling the AL regime?

Democracy does not seem to be our focus today. Because if it were, then shouldn’t we have been talking about elections more?

5h ago