আফগানিস্তানের ঘাড়ে রানের বোঝা চাপিয়ে দেওয়ার পথে বাংলাদেশ

ছবি: ফিরোজ আহমেদ

বড় লিড নেওয়া বাংলাদেশ ফের নেমে শুরুতেই হারাল মাহমুদুল হাসান জয়কে। এরপর নাজমুল হোসেন শান্ত ও জাকির হাসান বাঁধলেন জুটি। দুজনের ওয়ানডে ঘরানার ব্যাটিংয়ে তরতর করে বাড়তে লাগল রান। ফলে সকালের অস্বস্তি কাটিয়ে মিরপুর টেস্টে নিজেদের অবস্থান ভীষণ মজবুত করল টাইগাররা। জয়ের জন্য আফগানিস্তানকে বিশাল লক্ষ্য ছুঁড়ে দেওয়ার পথে রয়েছে তারা।

বৃহস্পতিবার শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে ৩৭০ রানে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ইনিংসে তাদের সংগ্রহ ১ উইকেটে ১৩৪ রান। ফিফটি হাঁকিয়ে ক্রিজে আছেন ওপেনার জাকির ও দুর্দান্ত ছন্দে থাকা শান্ত। দুজনেরই রান ৫৪। দুজনই খেলেছেন সমান ৬৪ বল। এর আগে আরেক ওপেনার জয় সাজঘরে ফেরেন ১৩ বলে ১৭ রানে।

ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই স্লিপে আমির হামজার শিকার হন জয়। তার ক্যাচ নেন ইব্রাহিম জাদরান। দলীয় ১৮ রানে ওই উইকেটের পতনের পর আর কোনো বিপদ ঘটতে দেননি জাকির ও শান্ত। ১২৮ বলে তাদের অবিচ্ছিন্ন দ্বিতীয় উইকেট জুটির রান ১১৬। তৃতীয় টেস্ট খেলতে নামা জাকির পান এই সংস্করণে তার দ্বিতীয় হাফসেঞ্চুরি। তিনি ব্যক্তিগত মাইলফলকে পৌঁছান ৫৬ বলে। এর কিছুক্ষণ পর প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান শান্তও তাকে অনুসরণ করেন। ফিফটির জন্য তার লাগে ৬১ বল।

বাংলাদেশের পেসাদের তোপ আর স্পিনারদের ঝলকে তৃতীয় সেশনের শুরুতে ১৪৬ রানে গুটিয়ে যায় আফগানরা। প্রথম ইনিংসে তারা খেলতে পারে মাত্র ৩৯ ওভার। লিটন দাসের দলের প্রথম ইনিংসে করা ৩৮২ রানের জবাবে ২৩৬ রানে পিছিয়ে থেকে ফলোঅনে পড়ে তারা। তবে প্রতিপক্ষকে ফলোঅন না করিয়ে আবার ব্যাট করতে নামে স্বাগতিকরাই।

বাংলাদেশের সেরা বোলার ইবাদত হোসেন। ডানহাতি পেসার ১০ ওভার বল করে ৪৭ রানে পান ৪ উইকেট। বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম ও অফ স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজের মতো বাঁহাতি পেসার শরিফুল ইসলামও নেন ২ উইকেট। কেবল ডানহাতি পেসার তাসকিন আহমেদ থাকেন উইকেটবঞ্চিত।

এর আগে দ্বিতীয় দিনের সকালে ৫ উইকেটে ৩৬২ রান নিয়ে নেমেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু আফগান দুই পেসার নিজাত মাসুদ ও ইয়ামিন আহমেদজাইর তোপে আর মাত্র ২০ রান যোগ করেই থামে তারা। তারা টিকতে পারে কেবল ৪৪ মিনিট। নিজাত ৭৯ রানে ৫ ও আহমেদজাই ৩৯ রানে ২ উইকেট দখল করেন।

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

8h ago