শেষদিনের রোমাঞ্চের অপেক্ষায় এজবাস্টন টেস্ট

ছবি: এএফপি

প্যাট কামিন্স ও ন্যাথান লায়নের বোলিং তোপে তিনশর নিচে লক্ষ্য পেল অস্ট্রেলিয়া। রান তাড়ায় তাদের শুরুটাও হলো বেশ ভালো। সেই উদ্বোধনী জুটিতে ভাঙন ধরিয়ে দ্রুত ৩ উইকেট তুলে নিয়ে লড়াইয়ে ফিরল ইংল্যান্ড। ফলে রোমাঞ্চকর এক শেষদিনের আভাস দিচ্ছে এজবাস্টন টেস্ট।

সোমবার অ্যাশেজ সিরিজের প্রথম ম্যাচের চতুর্থ দিনের খেলা শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে অজিদের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১০৭ রান। ক্রিজে আছেন প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি হাঁকানো ওপেনার উসমান খাওয়াজা ৮১ বলে ৩৪ রানে। তার সঙ্গী নাইটওয়াচম্যান স্কট বোল্যান্ডের সংগ্রহ ১৯ বলে ১৩ রান। তাদের অবিচ্ছিন্ন জুটির রান ২৭ বলে ১৮।

আগামীকাল পঞ্চম দিনে জয়ের জন্য অস্ট্রেলিয়ার চাই ১৭৪ রান। অন্যদিকে, পাঁচ ম্যাচের সিরিজে এগিয়ে যেতে ইংলিশদের দরকার ৭ উইকেট। টেস্টের গতিপথ বিবেচনায় জয়-পরাজয় ঘটাই প্রত্যাশিত। ড্র হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ।

আগের দিনের ২ উইকেটে ২৮ রান নিয়ে খেলতে নামা ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংস থামে ২৭৩ রানে। ওপেনার জ্যাক ক্রলি ছাড়া বাকি সবাই পৌঁছান দুই অঙ্কে। তবে কেউই হাফসেঞ্চুরি স্পর্শ করতে পারেননি। সর্বোচ্চ ৪৬ রানের ইনিংস খেলেন দুজন। হ্যারি ব্রুক মোকাবিলা করেন ৫২ বল, জো রুট ৫৫ বল। দুজনকেই বিদায় করেন লায়ন।

অস্ট্রেলিয়ার দলনেতা কামিন্সের শিকার হওয়া স্বাগতিক অধিনায়ক বেন স্টোকসের ব্যাট থেকে আসে ৬৬ বলে ৪৩ রান। শেষদিকে অলি রবিনসনের ৪৪ বলে ২৭ রানে সফরকারীদের লিড ছাড়ায় পৌনে তিনশ। তিনিও লায়নের বলে সাজঘরে ফেরেন। এই অফ স্পিনার ৪ উইকেট নেন ৮০ রানে। পেসার কামিন্স সমান সংখ্যক উইকেট পান ৬৩ রান দিয়ে।

পঞ্চাশ ছোঁয়া দুটি জুটি ছিল ইংল্যান্ডের ইনিংসে। তৃতীয় উইকেটে অলি পোপের সঙ্গে ৪৭ বলে ৫০ রান যোগ করার পর চতুর্থ উইকেটে ব্রুককে নিয়ে ৪৯ বলে ৫২ রান আনেন রুট। এছাড়া, স্টোকস ও জনি বেয়ারস্টো ষষ্ঠ উইকেটে স্কোরবোর্ডে জমা করেন ৭১ বলে ৪৬ রান।

চা বিরতির পর লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ৬১ রানের উদ্বোধনী জুটি পায় অস্ট্রেলিয়া। ৫৭ বলে ৩৬ রান করা ডেভিড ওয়ার্নারকে ফিরিয়ে তা ভাঙেন রবিনসন। এরপর অভিজ্ঞ পেসার স্টুয়ার্ট ব্রড হানেন জোড়া আঘাত। ফলে ৮৯ রানেই ৩ উইকেট খুইয়ে ফেলে অজিরা। ১৫ বলে ১৩ রান করেন মারনাস লাবুশেন। ১৩ বলে ৬ রানে আউট হন স্টিভেন স্মিথ।

Comments

The Daily Star  | English
National election

Political parties must support the election drive

The election in February 2026 is among the most important challenges that we are going to face.

4h ago