পদ্মাসেতু থেকে ঝাঁপ দেওয়া রিকশাচালকের খোঁজ মেলেনি ২ দিনেও

ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাটি পদ্মা উত্তর থানায় রাখা হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

উল্টোপথে ব্যাটারিচালিত রিকশা নিয়ে অবৈধভাবে পদ্মা সেতুতে উঠে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ হন এক রিকশাচালক। গত রোববার দিবাগত রাত ২টার দিকে সেতুর ২১ নম্বর পিলারের কাছে রিকশা রেখে সেতুর উপর থেকে লাফ দেন তিনি।

সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নিখোঁজ রিকশাচালককে না পেয়ে উদ্ধার অভিযান স্থগিত করে ফায়ার সার্ভিস। ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাটি পদ্মা উত্তর থানায় রাখা হলেও এ ঘটনায় আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনো ধরনের আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

লৌহজং ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার ফয়েজ আহমেদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, '১০ ঘণ্টা অতিবাহিত হলে আমরা ধরে নেই মরদেহটি আর পানির নিচে নেই। তাই এখন আর ডুবুরি দিয়ে নিখোঁজের সন্ধানে অভিযান চালানো হচ্ছে না।'

'তবে আজ মঙ্গলবার আমরা নদীর পাড়ে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজখবর করেছি এবং স্থানীয়দের জানিয়ে রেখেছি যদি তারা কোনো খোঁজ পায় তাহলে যেন আমাদের জানায়,' বলেন তিনি।

এ ঘটনায় পদ্মা উত্তর থানা কোনো আইনি ব্যবস্থা নিয়েছে কি না, তা জানতে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে ফোন দেওয়া হলেও তিন ফোন ধরেননি। 

তবে থানার ডিউটি অফিসার উপপরিদর্শক শিউলি দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, পদ্মা সেতু থেকে নদীতে রিকশাচালকের ঝাঁপ দেওয়ার ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি।

পদ্মা সেতুর টোল প্লাজার সিসিটিভি ফুটেজ থেকে অজ্ঞাত রিকশাচালকের ছবি সংগ্রহ করা হয়েছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'বিস্তারিত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলতে পারবেন।'

পদ্মা সেতুর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সদস্যদের একজন সোহেল আহম্মেদ ডেইলি স্টারকে বলেন, 'নিরাপত্তাকর্মীরা ওই রিকশাচালককে থামানোর চেষ্টা করে। কিন্তু, উল্টোপথে রিকশা চালিয়ে যাওয়ায় সেটা সম্ভব হয়নি। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা নিরাপত্তা কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে।'

এদিকে মাঝিরঘাট নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ তপন কুমার বিশ্বাস ডেইলি স্টারকে জানান, 'এ বিষয়ে সরকারি কোনো দপ্তর থেকে আমাদের কিছু জানানো হয়নি। সাংবাদিকরাই শুধু খোঁজখবর করছে। আমরা নিখোঁজের সন্ধানে কোনো অভিযানেও যাইনি বা কেউ আমাদের নদীতে নিখোঁজ রিকশাচালককে খুঁজতে বলেনি।'

মাওয়া নৌ-পুলিশের ইনচার্জ মাহবুবুর রহমান ডেইলি স্টারকে জানান, 'ঘটনা যেহেতু পদ্মা সেতুর ২১ নম্বর পিলারের কাছে ঘটেছে, তাই সেটা আমাদের এখতিয়ারে পড়ে না। ওটা মাদারীপুরের শিবচরে পড়েছে। এ বিষয়ে আমরা কিছু জানি না।'

Comments

The Daily Star  | English

'Election Commission shamelessly favouring a particular party'

Hasnat Abdullah says police obstructed NCP leaders and activists from entering EC building

1h ago