সমাবেশ

সাভারে বিএনপির ৪০ মাইক্রোবাস আটকে দেওয়ার অভিযোগ

৪০টি মাইক্রোবাস পুলিশ আটকে দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকায় দলীয় সমাবেশে যোগ দিতে যাওয়ার সময় সাভারে বিএনপির ৪০টি মাইক্রোবাস আটকে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে।

আজ বুধবার এ অভিযোগ তুলেছেন ঢাকা জেলা যুবদলের সাবেক জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাভার জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মো. খোরশেদ আলম।

খোরশেদ আলম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সাভারের নেতাকর্মীদের নিয়ে ঢাকায় সমাবেশে যোগ দেওয়ার জন্য ৭০টি মাইক্রোবাস ভাড়া করা হয়। এ উপলক্ষে সকাল থেকে জাহাঙ্গীরনগর সোসাইটি গেটে নেতাকর্মী ও গাড়িগুলো জড়ো হতে থাকে। সকাল ১০টার দিকে ৩টি গাড়িতে করে সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাশিদের নেতৃত্বে একদল পুলিশ আমাদের অন্তত ৪০টি গাড়ি আটকে দেয়। এর মধ্যে ১৪টি গাড়ির চাবি নিয়ে গেছে। আমরা যেন সমাবেশে যোগ দিতে না পারি, সেজন্য তারা এই বাধা সৃষ্টি করেছে।'

'সমাবেশ ঘিরে পুলিশ সাভার থেকে আমিন বাজার পর্যন্ত অন্তত ৪ জায়গায় চেকপোস্ট বসিয়েছে। তবে, কোনো বাধাই আমাদের সমাবেশে যোগ দেওয়া আটকাতে পারবে না', বলেন তিনি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জাহাঙ্গীরনগর সোসাইটি গেটে ৪৫টির মতো মাইক্রোবাস জড়ো হলে পুলিশ অন্তত ৪০টি আটকে দেয়। বর্তমানে গাড়িগুলো সেখানেই থেমে আছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাভার মডেল থানার ওসি (তদন্ত) আব্দুর রাশিদ ডেইলি স্টারকে মুঠোফোনে বলেন, 'আমরা কারো গাড়ি আটকাইনি।'

তিনি ডেইলি স্টারের প্রতিবেদকে ঘটনাস্থলে যেতে বলেন।

সাভার মডেল থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহা ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ট্রাফিক সপ্তাহ চলছে। এজন্য আমরা আমিনবাজারে রয়েছি। বিএনপির সমাবেশ ঘিরে আমরা কাউকে আটক করিনি বা কারো গাড়িও আটকাচ্ছি না।'

জাহাঙ্গীরনগর সোসাইটি গেটে বিএনপি নেতা খোরশেদ আলমের ৪০টি মাইক্রোবাস আটকে দেওয়া হয়েছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'আমি বিষয়টি জানি না। সেখানে অন্য কোনো ঘটনা থাকতে পারে।'

এ বিষয়ে জানতে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান খানকে ৩ বার ফোন করলেও তিনি ধরেননি।

Comments

The Daily Star  | English
Nat’l election likely between January 6, 9

EC suspends registration of AL

The decision was taken at a meeting held at the EC secretariat

7h ago