জাপান সাগরে চীন-রাশিয়ার যৌথ সামরিক মহড়া

যুদ্ধবিমানবাহী চীনা রণতরী। ছবি: রয়টার্স

'জলপথে কৌশলগত নিরাপত্তা রক্ষায়' জাপান সাগরে যৌথ সামরিক মহড়া করতে যাচ্ছে চীন ও রাশিয়া।

রুশ নৌ ও বিমানবাহিনীর সঙ্গে মহড়ায় যোগ দিতে আজ রোববার একটি চীনা নৌ ফ্লোটিলা ইতোমধ্যে রওনা হয়েছে।

চীনা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।

ইউক্রেনে আগ্রাসনের পর চীন ও রাশিয়ার মধ্যকার সামরিক সম্পর্কের উন্নতির বহিঃপ্রকাশ হিসেবে 'নর্দার্ন/ইন্টারঅ্যাকশন-২০২৩' কোড নামের এ যৌথ মহড়ার আয়োজন করা হয়েছে।

চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ৫টি যুদ্ধজাহাজ এবং ৪টি হেলিকপ্টারসহ চীনা ফ্লোটিলা রোববার কিংডাও বন্দর ছেড়েছে। পূর্বনির্ধারিত এলাকায় এটি রুশ বাহিনীর সঙ্গে যুক্ত হবে।

চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদপত্র গ্লোবাল টাইমস সামরিক বিশ্লেষকদের উদ্ধৃত করে বলেছে, এই প্রথমবারের মতো রাশিয়ার দুই বাহিনী মহড়ায় অংশ নিচ্ছে।

রুশ যুদ্ধজাহাজ গ্রমকি ও সোভারশেনি জাপান সাগরে এ মহড়ায় অংশ নিচ্ছে। এর আগে চলতি মাসের শুরুর দিকে জাহাজ দুটি সাংহাইয়ে চীনা নৌবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ এবং সমুদ্রে উদ্ধারাভিযান নিয়ে পৃথক প্রশিক্ষণ পর্ব পরিচালনা করেছে।

সাংহাইয়ের আর্থিক কেন্দ্রে বন্দর তৈরি করার আগে, একই জাহাজ তাইওয়ান এবং জাপানের পাশ দিয়ে যাত্রা করেছিল, তাইপেই এবং টোকিও উভয়কেই রাশিয়ান যুদ্ধজাহাজগুলি পর্যবেক্ষণ করার জন্য উদ্বুদ্ধ করেছিল।

চলতি মাসে চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লি শাংফু বেইজিংয়ে রুশ নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল নিকোলাই ইয়েভমেনভের সঙ্গে সাক্ষাতে দুই দেশের মধ্যে সামরিক সম্পর্ক জোরদারের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছিলেন।

জুনে একটি ভিডিও কলে আলাপকালে চীনের সামরিক চিফ অব জয়েন্ট স্টাফ লিউ ঝেনলি ও রাশিয়ার চিফ অব জেনারেল স্টাফ ভ্যালেরি গেরাসিমভ একই অঙ্গীকার করেছিলেন।

Comments

The Daily Star  | English
August 5 declared as July Mass Uprising Day

Govt declares 3 new days for nat’l observance

The interim government yesterday declared August 5 as “July Mass Uprising Day” to commemorate the student-led protests that toppled the Sheikh Hasina regime that day last year.

7h ago