ইউক্রেন যুদ্ধ: ‘ভারসাম্যপূর্ণ’ অবস্থানের জন্য জিনপিংকে ধন্যবাদ পুতিনের

চীন-রাশিয়া
বৃহস্পতিবার উজবেকিস্তানে বৈঠকে মিলিত হন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। ছবি: এপি

ইউক্রেন যুদ্ধের বিষয়ে 'ভারসাম্যপূর্ণ' অবস্থান নেওয়ায় চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

উজবেকিস্তানে সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনের (এসসিও) সম্মেলনের আগের দিন বৃহস্পতিবার এই দুই নেতা বৈঠক করেন বলে বার্তাসংস্থা এপি জানিয়েছে।

বৈঠকে পুতিন জিনপিংকে ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাশি ওয়াশিংটনের 'কুৎসিত' নীতির কঠোর সমালোচনা করেন।

বৈঠকের শুরুতে পুতিন বলেন, তিনি ইউক্রেন সম্পর্কে চীনের অস্পষ্ট 'উদ্বেগ' নিয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত।

তিনি বলেন, 'এ বিষয়ে আপনার প্রশ্ন ও উদ্বেগ আছে তা বুঝি। আমরা অবশ্যই আজকের বৈঠকে এ বিষয়ে আমাদের অবস্থানের ব্যাখ্যা দেবো, যদিও আমরা ইতোমধ্যে এ নিয়ে আগেও কথা বলেছি।'

রাশিয়া, চীন, ভারত, পাকিস্তান এবং মধ্য এশিয়ার ৪টি দেশ নিয়ে মোট ৮ দেশের জোট সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন। এই দেশগুলোতে মার্কিন প্রভাব প্রশমিত করতে পাল্টা নিরাপত্তা জোট হিসেবে এসসিও গঠিত হয়।

চীন-রাশিয়া
উজবেকিস্তানে সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনের বৈঠক। ছবি: এপি

বৈঠকের পরে চীনা সরকারের দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, শি জিনপিং রাশিয়ার 'মূল স্বার্থে দৃঢ় সমর্থনের' প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। বিবৃতিতে অবশ্য এই সমর্থনের বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়নি।

বৈঠকের পর রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ বলেন, 'মস্কো ও বেইজিংয়ের আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির মূল্যায়ন পুরোপুরি মিলে যায়। আমাদের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই।'

দুই দেশ 'আসন্ন জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ অধিবেশনসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে সমন্বয় অব্যাহত রাখবে' বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরু করে রাশিয়া। এর আগে মস্কোর সঙ্গে 'সীমাহীন' বন্ধুত্বের উল্লেখ করেছিল চীন সরকার। ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক আগ্রাসনের পর এর সমালোচনাও করেনি চীন। 

চীন ও ভারত বর্তমানে রাশিয়ার কাছ থেকে যথেষ্ট পরিমাণে তেল ও গ্যাস কিনছে, যা মস্কোর বিরুদ্ধে আরোপিত পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার ধাক্কা সামলে উঠতে সাহায্য করছে।

Comments

The Daily Star  | English
rohingya-migration

Persecuted by Arakan Army, Rohingyas fleeing to Bangladesh

Amid escalating violence in Myanmar’s Rakhine State, Rohingyas are trespassing into Bangladesh every day, crossing the border allegedly to escape the brutality of Myanmar’s rebel group, the Arakan Army (AA).

1h ago