বগুড়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে বিএনপির ‘৭ নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ, আহত ৩০’

বিএনপি-পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ছবি: সংগৃহীত

বগুড়ায় বিএনপির পদযাত্রায় বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

বিএনপির দাবি, এই ঘটনায় তাদের ৭ নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ এবং আরও অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। আর পুলিশ বলছে, এই ঘটনায় তাদের ৫-৬ জন সদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন।

আজ মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ দুপুর সাড়ে ১২টার সময় শহরের বনানী এলাকা থেকে মিশিল নিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীরা একুৰিয়া স্কুলের কাছে গেলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়।

পুলিশ বলছে, সেই সময় বিএনপির মিছিল থেকে পুলিশের ওপর ইট-পাটকেল ছোড়া হয়। বিএনপির ইট-পাটকেল প্রতিহত করতে পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এর পরে থেমে থেমে শহরে কয়েকটি জায়গায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়।

বগুড়া জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী অজগর হেনার ভাষ্য, বর্তমানে শহরের নবাববাড়িতে বিএনপি জেলা কার্যালয়ে ৩০০-৪০০ নেতাকর্মী অবরুদ্ধ হয়ে আছেন।

বিএনপি-পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ছবি: সংগৃহীত

তিনি বলেন,  'বনানী থেকে মিছিল নিয়ে আমার একুবিয়া স্কুলের কাছে গেলে পুলিশ আমাদের বাধা দেয়। এক সময় আমাদের ওপর টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ছোড়ে। এতে এই পর্যন্ত আমাদের ৭-১০ নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ এবং ৩০-৪০ জন আহত হয়েছেন। এ ছাড়া পুলিশ সবখানে আমাদের নেতাকর্মীদের আটকও করছে।'

বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুর রশিদ বলেন, 'পদযাত্রা নিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীরা সাতমাথায় যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু তাদের কথা ছিল ইয়াকুবিয়া মোড় হয়ে জলেশ্বরীতলা দিয়ে দলীয় কার্যালয়ে যাওয়ার। এরপরেও তারা জোর করে সাতমাথায় যাওয়ার চেষ্টা করে ও পুলিশের ওপর ইট, পাথর, লাঠি নিয়ে হামলা চালায়। সেই সময় পুলিশের বেশ কয়েকজন সদস্য আহত হয়। এরমধ্যে ৫ থেকে ৬ জন গুরুতর আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ছোড়ে উপরের দিকে। বিএনপির কোনো কর্মীকে মারপিট বা লাঠিচার্জ করা হয়নি।'

দুপুর ১টার দিকে বিএনপির ছোড়া চোরা ককটেল বিস্ফোরণে ৪-৫ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন বলেও জানিয়েছে পুলিশ।

 

Comments

The Daily Star  | English

Govt publishes gazette of 1,558 injured July fighters

Of them, 210 have been enlisted in the critically injured "B" category, while the rest fall under the "C" category of injured fighters

6h ago