লক্ষ্মীপুরে আ. লীগ-বিএনপি-পুলিশ ত্রিমুখী সংঘর্ষে নিহত ১, আহত অর্ধশতাধিক

নিহত সজিব (২৫) কৃষক দলের কর্মী বলে দাবি বিএনপি নেতৃবৃন্দের।
বিএনপির দাবি শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশ ও সরকার দলীয় লোকজন অতর্কিত হামলা চালায়। ছবি: সংগৃহীত

লক্ষ্মীপুরে এক দফা দাবিতে পদযাত্রা ও বিক্ষোভ মিছিল কেন্দ্র করে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ও গুলির ঘটনা ঘটেছে। 

ত্রিমুখী এ সংঘর্ষে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এতে ৩০ পুলিশসহ অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন।

আজ মঙ্গলবার বিকেল ৫টার দিকে জেলা শহরের ঝুমুর সিনেমাহল-রামগতি আঞ্চলিক মহাসড়কে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। 

জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (আহত) সোহেল রানা দ্য ডেইলি স্টারকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নিহত সজিব (২৫) কৃষকদলের কর্মী বলে দাবি বিএনপি নেতৃবৃন্দের। তার বাড়ি লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ এলাকায়।

স্থানীয়রা জানায়, বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বিএনপির পদযাত্রা চলাকালে শহরের সামাদ মোড়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে সজিব আহত হন। তিনি একটি ভবনের নিচে আশ্রয় নিলে সেখানে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়।

জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'নিহত সজিব যুবদলকর্মী। আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা তাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে।'

জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাহাব উদ্দিন সাবু ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা শান্তিপূর্ণ মিছিল নিয়ে আধুনিক হাসপাতালের সামনে গেলে পুলিশ ও সরকার দলীয় লোকজন মিছিলে বাধা দিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় পুলিশ আমাদের ওপর গুলি চালায়। এতে আমাদের ৬০-৭০ জন নেতাকর্মী আহত হয়।'

লক্ষ্মীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সোহেল রানা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বিএনপি মিছিল নিয়ে আধুনিক হাসপাতালের সামনে গেলে পুলিশ দেখে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। এ সময় বিএনপির নেতাকর্মীরা ইট, লোহার রড দিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এতে আমি, সদর থানার ওসি মোসলেহ উদ্দিনসহ ৩০ পুলিশ আহত হয়েছে।'

লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক মো. আনোয়ার হোসেন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সন্ধ্যা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ৬৯ জন চিকিৎসা নিয়েছে। ২ জন ভর্তি আছেন। আশঙ্কাজনকদের নোয়াখালী ও ঢাকায় রেফার করা হয়েছে।' 

 

Comments

The Daily Star  | English
What constitutes hurting religious sentiments

Column by Mahfuz Anam: What constitutes hurting religious sentiments?

The issue of religious tolerance have become a matter of great concern as we see a global rise in narrow-mindedness, prejudice and hatred.

12h ago