টানা-হেঁচড়ায় ‘অসুস্থ’ আমানকে ভ্যানে তুলে নিয়ে গেল পুলিশ

ছবি: প্রবীর দাশ/স্টার

ঢাকার প্রবেশমুখ গাবতলীর অবস্থান কর্মসূচি থেকে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমানকে ভ্যানে করে তুলে নিয়ে গেছে পুলিশ।

আজ শনিবার সকাল ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে তাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।

ঘটনাস্থল থেকে দ্য ডেইলি স্টারের নিজস্ব প্রতিবেদক জানান, আজ সকাল ১১টার দিকে ১০-১২ জন নেতাকর্মীকে সঙ্গে নিয়ে গাবতলী বিএনপি কার্যালয়ের সামনে যান আমানউল্লাহ আমান। তখন তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলা শুরু করেন। সেই সময় কাছাকাছি দূরত্বে থাকা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে। তখন সেখানে অবস্থানরত পুলিশের কাছে নিরাপত্তার জন্য সহযোগিতা চান আমান। তিনি ডিএমপির পল্লবী জোনের এডিসি নাজমুল হাসানের সঙ্গে কথা বলে শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করার জন্য সহযোগিতা চান। সেই সময় একদল যুবক পুলিশের সামনেই আমানসহ তার সঙ্গে থাকা নেতাকর্মীদের টানা-হেঁচড়া করতে শুরু করেন।

ছবি: প্রবীর দাশ/স্টার

তাদের মধ্যে কয়েকজন আমানকে টেনে পুলিশের গাড়ির কাছে নিয়ে যান। তখন এডিসি নাজমুল এগিয়ে গিয়ে আমানের সঙ্গে কথা বলেন। তাদের মধ্যে তর্কাতর্কি হয়। সেই সময়েও ওই যুবকরা লাঠি হাতে সেখানেই অবস্থান নেয়। এক পর্যায়ে এডিসি নাজমুলের নেতৃত্বে একদল পুলিশ বেরিকেড দিয়ে আমানকে মাজাররোডের দিকে নিতে থাকে। এক পর্যায়ে তিনি অসুস্থ হয়ে সড়কে পড়ে যান। পরে তাকে ভ্যানে করে নিয়ে যায় পুলিশ।

পুলিশের উপকমিশনার (মিরপুর বিভাগ) জসিম উদ্দীন মোল্লা সাংবাদিকদের জানান, আমানকে গ্রেপ্তার নয়, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নেওয়া হচ্ছে।

ছবি: প্রবীর দাশ/স্টার

ডেইলি স্টারের প্রতিবেদক আরও জানান, গাবতলী থেকে বিএনপির আরও ৮-১০ নেতাকর্মীকে আটক করতে দেখা গেছে। সেই সময় গাবতলীতে বিএনপি নেতাকর্মীদের ঘিরে শতাধিক আওয়ামী লীগ সমর্থকদের মিছিল করতে দেখা যায়।

আটকের আগে আমানউল্লাহ আমান সাংবাদিকদের বলেন, আমরা পুলিশকে জানিয়েছি আমরা কর্মসূচি পালন করব। আমরা এসব কর্মসূচির নিরাপত্তা চেয়েছি। কিন্তু আমরা কর্মসূচি শুরুর চেষ্টার পর থেকেই তারা আমাদের হয়রানি করতে শুরু করে।

Comments

The Daily Star  | English
cyber security act

A law that gagged

Some made a differing comment, some drew a political cartoon and some made a joke online – and they all ended up in jail, in some cases for months. This is how the Digital Security Act (DSA) and later the Cyber Security Act (CSA) were used to gag freedom of expression and freedom of the press.

7h ago