বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথ কার্যপত্রের খসড়া তৈরি করছে গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিল

জিসিসির মহাসচিব জাসেম মোহাম্মেদ আল বুদাইয়ির সঙ্গে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারীর বৈঠক। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের সঙ্গে একযোগে কাজ করার লক্ষ্যে গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিল (জিসিসি) একটি যৌথ কার্যপত্রের খসড়া তৈরি করছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির মহাসচিব জাসেম মোহাম্মেদ আল বুদাইয়ি। 

আজ বৃহস্পতিবার সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে জিসিসির সদর দপ্তরে দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারীর সঙ্গে বৈঠকে এ কথা বলেন তিনি।

জাসেম মোহাম্মেদ আল বুদাইয়ি বলেন, 'বিবেচনার জন্য কার্যপত্রের খসড়া শিগগির বাংলাদেশের কাছে উপস্থাপন করা হবে। এ ছাড়া, যত দ্রুত সম্ভব মন্ত্রী পর্যায়ে বাংলাদেশের সঙ্গে প্রথম অংশীদারিত্ব সংলাপ আয়োজন করা হবে।' 
 
বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করে মহাসচিব অনেক খাতে একযোগে কাজ সুযোগ আছে বলেও মন্তব্য করেন।

বৈঠকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জানান, গত বছর জিসিসির সঙ্গে বাংলাদেশের অংশীদারিত্ব সংলাপ এবং সহযোগিতার জন্য একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছিল। 

রাষ্ট্রদূত আগামী সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের সাইডলাইনে জিসিসির সঙ্গে এই সংলাপের প্রস্তাব দেন। 

রাষ্ট্রদূত জিসিসির সঙ্গে বাংলাদেশের মন্ত্রীপর্যায়ের বৈঠকের এজেন্ডা প্রণয়নের জন্য ঢাকা কিংবা রিয়াদে উচ্চপর্যায়ের আনুষ্ঠানিক সভারও প্রস্তাব করেন। 

মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী মহাসচিবকে আরও জানান, সাম্প্রতিক সময়ে উপসাগরীয় দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য প্রতি বছরই বাড়ছে। বাংলাদেশে উপসাগরীয় দেশগুলোর বিনিয়োগও বাড়ছে।

'আগামী দিনে উপসাগরীয় দেশগুলোর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে আরও কাজ করার সুযোগ রয়েছে', বলেন রাষ্ট্রদূত। 

উপসাগরীয় দেশগুলোতে বাংলাদেশের বিভিন্ন পণ্যের বিশাল বাজার রয়েছে উল্লেখ করে বাণিজ্য বৃদ্ধিতে জিসিসির সহযোগিতাও কামনা করেন রাষ্ট্রদূত।

বৈঠকে জিসিসির মহাসচিব জাসেম মোহাম্মেদ আল বুদাইয়িকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানানো হয় বলে বাংলাদেশ দূতাবাসের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়। 

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

2h ago